ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

কুলাউড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিস : ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থলে আছেন ৪ জন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দীর্ঘদিন থেকে জনবল সংকট রয়েছে। দৈনদিন কাজ করতে মাত্র ৪ জন কর্মকর্তা রয়েছেন সেখানে। ফলে দারুণ হিমশিম পোহাতে হচ্ছে তাদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুলাউড়া শিক্ষা অফিসে ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে সেখানে মাত্র ৪ জন দিয়ে চলছে যাবতীয় কার্যক্রম। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতেও নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১০৪২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা পর্যায়ে ১৭টি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ রয়েছে।
এসব পদে রয়েছেন ১ জন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ৯ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার, ১ জন উচ্চমান সহকারী, ৪ জন অফিস সহকারী, ১ জন হিসাব সহকারী ও ১ জন এমএলএসএস। ওই সূত্র আরো জানায়, ১৭ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন।
তারা হলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইফতেখায়ের হোসেন ভূইয়া, সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মামুনুর রহমান ও সৌরভ গোস্বামী এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু বক্কর সিদ্দিক। কিছু পদে লোকবল আগে থাকলেও ২০১২ সাল থেকে অন্য পদগুলো এখনো শূন্য রয়েছে। কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা অফিসে থাকাকালীন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় এমএলএসএস না থাকায়। অফিসে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত হলে চা নাস্তা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য কর্মরত কর্মকর্তারা নিজেই সেই কাজগুলো সম্পাদন করতে হয়। এই সংকটের কারণে দীর্ঘদিন থেকে নানা বিড়ম্বনায় শিক্ষা অফিস কচ্ছপ গতিতে চলছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইফতেখায়ের হোসেন ভূইয়া জানান, অফিসে মাত্র ৪ জন লোক সকল কাজ করতে গিয়ে কে শিক্ষা অফিসার, আর কে অফিস সহকারী তা বাহিরে থেকে বুঝা দায় হয়ে পড়বে। জনবল সংকটের কারণে আমরা নিজেরা দীর্ঘদিন থেকে এই বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, অফিসের কাজে সহায়ক হিসেবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দক্ষ ৫ জন শিক্ষক দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো হচ্ছে। ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৪ জন বিচক্ষণ শিক্ষক আমাদের কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি শূন্য পদগুলোতে দ্রুত লোকবল নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়