চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : চালকের সহকারী শাহীরুল এখন কোটিপতি

আগের সংবাদ

তিস্তার তাণ্ডবে লালমনিরহাটে পথে বসেছে হাজারো পরিবার

পরের সংবাদ

সুইডেন ও পাকিস্তানের সতর্কবার্তা : এখনি পাশে না দাঁড়ালে ‘পতন’ অনিবার্য আফগানিস্তানের

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বৈশ্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বিলম্ব হলে আফগানিস্তানের সুনিশ্চিত ধস ঠেকানো সম্ভব হবে না বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন সুইডেন ও পাকিস্তানের দুই মন্ত্রী। গত আগস্টে পশ্চিমা সমর্থিত সরকার উৎখাত করে কট্টরপন্থি তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই দেশটি টালমাটাল সময় পার করছে। দেশটির ওপর থেকে পশ্চিমা নিয়ন্ত্রণ রাতারাতি উঠে যাওয়ায় ত্রাণনির্ভর অর্থনীতির দেশটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পশ্চিমা সহায়তারও আকস্মিক অবসান ঘটেছে। রয়টার্সকে সুইডিশ উন্নয়নমন্ত্রী পার ওলসন ফ্রিদ বলেন, দেশটি পতনের দ্বারপ্রান্তে। এই পতন আমাদের ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে। তার আশঙ্কা, আফগানিস্তানের অর্থনীতির পতন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মাথাচাড়া দেয়ার নতুন সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। তবে এরপরও সুইডেন তালেবানের হাত দিয়ে দেশটিতে টাকা পাঠাবে না। আফগান নাগরিক সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমেই সেখানে মানবিক সাহায্য কার্যক্রম বাড়ানো হবে বলে জানান ফ্রিদ। তালেবান শাসকদের বৈধতা দিতে নারাজ বিভিন্ন দেশ ও বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান গত আগস্ট মাস থেকেই আফগানিস্তানে তাদের উন্নয়ন সহযোগিতা স্থগিত রেখে মানবিক ত্রাণ সাহায্য বাড়িয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, তালেবানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনই আফগানিস্তানের মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর একমাত্র উপায়। বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তানের যে কয়েক বিলিয়ন ডলার আটকে রেখেছে, তা ছাড়ারও আহ্বান জানান তিনি।
ফাওয়াদ বলেন, আমরা কি আফগানিস্তানকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ঠেলে দিতে যাচ্ছি, নাকি দেশটিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে যাচ্ছি? তালেবানদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমেই সেখানে মানবাধিকার সুরক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দশক ধরে কাবুলের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থি গোষ্ঠীটির লড়াইয়েও ইসলামাবাদ সহায়তা করেছে বলে প্রায়ই অভিযোগ উঠেছে। তবে পাকিস্তান আগে থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ফ্রিদ বলেন, তালেবানরা এখন পর্যন্ত এমন প্রমাণ দিতে পারেনি যে তারা তাদের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের নিপীড়নমূলক নীতিগুলো থেকে বেরিয়ে এসেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য কাবুলে ফের দূতাবাস খোলার পরিস্থিতি এখনো হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কাবুলের বদলে কাতারেই আফগানিস্তানকেন্দ্রিক কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়বে বলেও অনুমান তার। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তালেবানের কথা চালাচালির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে কাতার। কয়েক দিন আগেই ফ্রিদ দোহায় কাতারে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। পাকিস্তানের মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের স্বীকৃতি এবং নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ তালেবান সদস্যদের ওপর থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও অন্যান্য বিশ্বশক্তির একটি ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ ঠিক করার এখনই যথার্থ সময়। এই কাঠামো এবং সরাসরি অর্থনৈতিক সহায়তাই দেশটির অস্থিতিশীলতা দূর করতে পারে। অন্যথায় টাইম বোমার ঘড়ির কাঁটা কিন্তু এরই মধ্যে চলতে শুরু করেছে, বলেন ফাওয়াদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়