নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

হোমনায় পানির দরে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : হোমনায় পানির দরে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ। সারাদেশে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ হলেও হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি ও লটিয়া গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদীতে প্রশাসনের কোনো নজরদারি না থাকায় জেলেরা অবাধে ধরছেন মা ইলিশ। আর এসব ইলিশ নদী থেকেই পাইকাররা পানির দরে কিনে সস্তায় বাড়ি বাড়ি বিক্রি করছেন। এয়াড়া, মেঘনা নদীতে সস্তায় ডিমওয়ালা ইলিশ বিক্রির খবর শুনে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন নদীর ঘাটে গিয়ে পাইকারদের কাছ থেকে সেসব ইলিশ কিনে আনছেন। এ সময় অন্য সময়ের চেয়ে জালে বেশি ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরা দাম কম হলেও নদীতেই পাইকারদের কাছে মাছ বিক্রি করে দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেরা জানান, বাজারে নিয়ে মাছ বিক্রি করা যাচ্ছে না। আবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিক্রি করতে হলে সময় বেশি লাগে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাছ বিক্রি করলে যে কয় টাকা বেশি পাওয়া যায় তার চেয়ে সে সময়টুকুতে নদীতে জাল ফেললে তার চেয়ে অনেক বেশি টাকার মাছ ধরা যায়। মাছ ধরার সময়ই ট্রলার নিয়ে নদীর মাঝ থেকেই মাছ কিনে নেন পাইকাররা। এসব মাছ নিয়ে পাইকাররা উপজেলার শ্রীমদ্দি, লটিয়া, মাথাভাঙ্গা, চরেরগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সস্তায় বিক্রি করছেন। দাম কম থাকায় এসব এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকজন বেশি ইলিশ কিনে ফ্রিজে রাখছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীমদ্দি গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের এক গৃহবধূ জানান, গতকাল সকালে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ৬৪টি ইলিশ কিনেছেন দুই হাজার টাকায়।
দুপুরে শ্রীমদ্দি গ্রামের সরকার বাড়ির ঘাটে মা ইলিশ বিক্রি করতে আসা শ্রীমদ্দি কুটি বাড়ির মো. হাসিম ও জামান বলেন, তারা সাড়ে সাত হাজার টাকার ইলিশ কিনে বিক্রি করতে এনেছেন। তবে যারা ইলিশ কিনেছেন তাদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একজন ছয় হাজার, আরেকজন চার হাজার, আরেক জন ২৭ টাকা করে এভাবে প্রায় ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার ইলিশ কিনেছেন।
প্রতি বছর মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলেও এবার তেমন কোনো প্রচারণা ছিল না বলে জানান স্থানীয়রা। প্রতি বছরই মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে মা ইলিশ নিধনকারী জেলেদের ও ইলিশ পাইকারদের জরিমানা করে এলে এবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া হোমনায় কোনো ইলিশ জোন আছে বলে তিনি জানেন না। মৎস্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া বলেন, হোমনা উপজেলায় কোনো ইলিশ জোন নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, গত বছরও মা ইলিশ রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ জেলে মাছ ব্যবসায়ীদের সাজা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়