নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

সাম্প্রদায়িক হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর অবস্থান জরুরি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণেই দেশে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক হামলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন হচ্ছে। এছাড়া সরকারের কঠোর মনোভাব এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা হলে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর হবে না বলে মনে করেন ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ। গতকাল শুক্রবার সকালে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন আয়োজিত এক মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল ১১টায় গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশনের সামনের রাস্তায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ-প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘরে হামলা-লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের যে শাখা রয়েছে সেখানেও একই সময়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে এবারই প্রথম রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন।
স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ বলেন, যারা এ ধরনের হামলা ও নির্যাতন-নিপীড়ন চালায় তারা অসহিষ্ণু। তারা মনে করছে পৃথিবীতে একটিই ধর্ম থাকবে। অন্য কোনো ধর্ম থাকবে না। এই অসহিষ্ণুতার কারণে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেই চলছে। বঙ্গবন্ধুর যে নির্দেশে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল এবং তিনি বাংলাদেশের জন্য যে সংবিধান রচনা করেছেন সেখানে ধর্ম সহিষ্ণুতা ও ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা ছিল। বাস্তবে তা নেই। আমাদের মূলে হাত দিতে হবে।
হামলার ঘটনায় প্রশাসনের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে হামলাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি পূর্বপরিকল্পিত। হামলা হতে পারে এমন খবর পাওয়ার পর হাজীগঞ্জের রামকৃষ্ণ সেবা আশ্রমের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয় এবং তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
বিষয়টি দেখবে বলেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আশ্রম ও থানার দূরত্ব খুব বেশি না হলেও এক ঘণ্টা ধরে আশ্রমে নির্বিচারে হামলা, ভাঙচুর ও অত্যাচার চালানো হলেও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এটি দুঃখজনক। সরকার যদি কঠোর মনোভাব এবং অবস্থান নিতে পারত তাহলে অনাকাক্সিক্ষত এসব ঘটনা এড়ানো যেত এবং অঙ্কুরেই বিনাশ করা যেত। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কঠোর বার্তা দেয়ার পরও অব্যাহতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা এক্ষেত্রে সরকারের কঠোর উদ্যোগ দেখতে চাই। কঠোর শাস্তি বলতে কঠোরতম শাস্তির কথাই আমরা বলছি। আমরা বলতে চাই, যা হয়ে গেছে আর যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
মানববন্ধন মঠের অন্যান্য সন্ন্যাসী, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সারদা সংঘসহ সমমনা বিভিন্ন সংগঠন এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিজ নিজ ব্যানারে অংশ নেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়