নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম। গত ২১ অক্টোবর গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে বিকাল ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই দিন বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। বিকাল ৪টায় কেক কেটে, শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠানে আগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করলে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে না। অ্যাকাডেমিক বিষয়েও যদি এই বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব গ্রহণ করে তাহলে সমন্বিতভাবে শিক্ষার মানোন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, শিক্ষাটা যেন বাস্তবমুখী ও কর্মমুখী হয়। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও নৈতিক গুণাবলির সমন্বয়ে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে পৃথিবী পরিবর্তনশীল, আধুনিক শিক্ষা তাদের গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি তাদের দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে হবে। শৈশব-কৈশোর থেকেই অসাম্প্রদায়িক আদর্শে বেড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধান কাজ হচ্ছে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। পরিবেশটা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন গবেষণার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের কলেজগুলোতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও অনেক স্বল্প আয়ের মানুষের সন্তানরাও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছেন। এই সুযোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত না করলে আমাদের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হতো।’
স্বাগত বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবে। এর মধ্যদিয়ে আগামী দিনে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার শ্রেষ্ঠ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা ও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে উচ্চশিক্ষার এই পাদপীঠকে আলোকবর্তিকা হিসেবে পৌঁছে দিতে চাই। এটিই হবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রক্তের ঋণ। এই ঋণ শোধ করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
আলোচনা সভা শেষে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী প্রফেসর ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফাতেমা তুজ জোহরা, কিরণ চন্দ্র রায়সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সংগীত কলেজ, সুরের ধারা কলেজ- এর শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়