নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে দাম না বাড়লেও রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সেই সঙ্গে মুরগির দাম নিয়ে অস্বস্তিতো রয়েই গেছে। ফলে সবজি ও মুরগির দাম নি¤œ আয়ের মানুষদের বেশ ভোগাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বাজারে ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮৫-১৯০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। মুরগির পাশাপাশি সবজির দামও বেশ ভোগাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আগের মতোই সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর ও টমেটো। মান ভেদে এক কেজি গাজর ১০০ ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই দুই সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজি। শীতের আগাম সবজি শিম গত সপ্তাহের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে খুব একটা হেরফের হয়নি।
এ ছাড়া চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়স, পটোল, করলার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, পটল ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৪০-৬০ টাকার মধ্যে, বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। এ ছাড়া কাঁচকলার হালি ৩০-৩৫, লালশাকের আঁটি ১০-২০, মুলাশাকের আঁটি ১৫-২০, কলমিশাকের আঁটি ৫-১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কারওয়ানবাজারে কথা হয় সবজি কিনতে আসা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মফিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, বাজারে কোনো কিছুতে এখন স্বস্তি নেই। সবকিছুর দাম চড়া। তবে মহল্লার বাজারের তুলনায় এখানে কম দামে সবজি পাওয়া যায়। তাই একটু কষ্ট করে এখানেই সবজি কিনতে আসি। চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন সবকিছুর দাম অস্বাভাবিক। মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী কারসাজি করে এমন দাম বাড়াচ্ছে। পেঁয়াজের দামের ওঠানামা বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। দেখেন কোনো কারণ ছাড়াই পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা হয়ে গিয়েছিল। সরকার শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতেই এখন ৬০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। এটা কিভাবে স্বাভাবিক হতে পারে। আসলে বাজারে কারো কোনো নজরদারি নেই, যার সুযোগ নিচ্ছে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। এদিকে গত সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা কমে পেঁয়াজের কেজি ৬৫-৭০ টাকায় নেমে আসে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে আরো ৫ টাকা কমে এখন ৬০-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে পেঁয়াজের অভাব নেই। কিন্তু ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসায় হুট করে দাম বেড়ে যায়। তবে সরকার আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করায় দাম কিছুটা কমেছে। নতুন আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরো কমবে বলেও মনে করেন এই পেঁয়াজ বিক্রেতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়