এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ১৪ দলের

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে জাতি-ধর্ম শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। গতকাল রবিবার এক ভার্চুয়াল সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে এবং সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করে যারা দেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে সেই অপশক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, তারা কেন কুমিল্লাকে বেছে নিল? কেন তারা নোয়াখালীকে বেছে নিল? আজকে তা খুঁজে বের করতে হবে। এই কাজ উগ্রবাদীগোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত আর এর পেছনে ইন্ধন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমেই এদের মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, এসব ঘটনা আমরা পাকিস্তান আমল থেকে দেখে আসছি। ইসলাম গেল গেল বলে তখন থেকে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে এই অপশক্তি। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ইসলাম সমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তা সম্ভব হয়েছে। আমি চাই, ১৪ দল ইস্পাত কঠিন হয়ে সব মোকাবিলা করবে এবং তার পথ দেখাবেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সত্যিকার অর্থে ধর্মবিশ্বাসী কোনো মানুষ এই হামলা করতে পারে না। সারাদেশের অনেক মন্দিরে হামলা হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে। মানুষ নিহত হয়েছে। আমরা ভিডিওতে দেখিছি- কীভাবে তারা এই নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। তিনি বলেন, রামু, নাসিরনগর, কুমিল্লা সব ঘটনা একই সূত্রেগাঁথা।
সা¤প্রদায়িকতা এত বেশি বিস্তার লাভ করছে যে, তা সব দলেই আছে। এদের সম্পর্কে দলমতনির্বেশেষে নির্মোহ বিশ্লেষণ করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ সময় তিনি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন করা এবং সমস্ত পাঠ্যক্রমে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, কুমিল্লার হামলার পেছনে কারা ছিল? ’৭১-এর পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াতিরাই। তারা দাঙ্গার জন্য উস্কে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। আমি এটাকে জঙ্গি হামলা হিসেবেই দেখব। এটা পরিকল্পিত হামলা। এটা রাজনৈতিক হামলা। সরকারকে বিপদে ফেলতেই এই হামলা করা হয়েছে। সরকারকে উৎখাত করতে এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই হামলা। ধর্মকার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশকে হেয় করতেই তাদের ঘৃণ্য এই অপকৌশল। বিএনপি-জামায়াতের পার্টনারশিপে এসব হামলা সংঘটিত হচ্ছে।
সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থনীতিতে ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী তা সহ্য করতে পারছে না। তারা ধর্মের নামে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কুমিল্লার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আর উগ্রবাদ সব একই সূত্রেগাঁথা। আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে সচেষ্ট থাকতে হবে। ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে এমন আরও আঘাত আসতে পারে। যা শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে। ধর্মের নামে যা হচ্ছে, ইসলাম তা সমর্থন করে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়