এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

রাজশাহীতে মানববন্ধন : স্কুলছাত্রী বর্ষা হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে রাজশাহীতে বর্ষা খাতুন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে হাতুড়ির আঘাতে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
রাজশাহী প্রেস ক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য গোলাম সারওয়ার, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহসভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, নগরীর খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক সাহানারা ফেরদৌস, মেরিনা আক্তার, মানবাধিকার সংগঠন আইএইচসিআরএফের সাধারণ সম্পাদক সাগর নোমানী, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল করিম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্কুলছাত্রী বর্ষার ওপর যেভাবে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, তা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় প্রভাবশালী মইদুল হক তার মেয়ের বান্ধবীকে হত্যাচেষ্টার ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর বর্ষার পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলেও তৎক্ষণাৎ মামলা নেয়া হয়নি। তিন দিন ঘুরানোর পর মামলা রুজু হলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি এখনো। অথচ স্কুলছাত্রী বর্ষা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ছুটি পেয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বাসায় রয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে বর্ষা তার খালার বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় তার সহপাঠী মাহফুজা ও তার বাবা মইদুল হাতুড়ি নিয়ে এসে পথ আটকিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে বর্ষার মাথায় আঘাত করে তারা। আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সে পড়ে গেলে তার পিঠ, পাঁজর ও গলায় আঘাত করে। পরে তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কয়েক দফায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর ছুটি দেন চিকিৎসক। তবে তার অবস্থা এখনো স্বাভাবিক নয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মইদুল ইসলাম জানায়, আমি হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত নই। তুচ্ছ ঘটনায় স্কুলে দুই বান্ধবীর মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে তা মিটে গেছে। এ ব্যাপারে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, যথাসময়ে মামলা নেয়া হয়েছিল। আসামিরা জামিনে থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হয়নি। তবে আদালতের নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়