২৩ অক্টোবর ভোট গ্রহণ : বিএফইউজের নির্বাচনে আর বাধা নেই

আগের সংবাদ

বাঙালির মাতৃপূজা দেশমাতৃকার পূজা থেকে আলাদা নয়

পরের সংবাদ

সংসদীয় কমিটির প্রস্তাব : বাল্যবিয়ে বন্ধে ভাতাভুক্ত হতে পারে কিশোরীরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে প্রতি বছরই বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে অনেক কিশোরী। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সরকারকেও। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এই সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিশোরীদের বাল্য বিয়ে বন্ধে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই আওতায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের প্রণোদনার আওতায় আনার কথা ভাবছে সরকার। সম্প্রতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বাল্য বিয়ে রোধে পুরস্কার এবং তিরস্কার এই দুই ব্যবস্থা রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
বিশ্ব কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাল্য বিয়ের বিষয়ে কিছু জায়গায় এখনো আমরা বিব্রত হই। সরকার সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে সরকার ভাতা দিয়ে আসছে।
বাল্য বিয়ে বন্ধে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরীদের ভাতার আওতায় আনার প্রস্তাব আমরা করেছি। বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় বাল্য বিয়ের শিকার মেয়েদের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু আমি বলবো যে পুরুষটি এবং কত শতাংশ পুরুষ কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করছে তার চিত্রও তুলে আনা জরুরি। যেসব পুরুষ কিশোরীদের বিয়ে করছে তাদের লজ্জা দেয়া দরকার। পুরুষরা সচেতন হলে বাল্য বিয়ে রোধ হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কিশোরী-কিশোরদের আত্ম-উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবেশের ভূমিকা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল), আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং চিলড্রেন এফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন)। অনুষ্ঠানে ইউবিএল ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্টের (ডিএসইপি) উদ্বোধন করেন মেহের আফরোজ চুমকি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ইউবিএলের সিইও এন্ড এমডি জাভেদ আখতার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওরলা মার্ফি। সিএজেএনের সভাপতি মাহফুজা জেসমিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
রাম চন্দ্র দাস বলেন, কন্যাশিশুদের অগ্রগতিতে এখন বড় ধরনের অন্তরায় হিসেবে রয়েছে বাল্যবিয়ে। বাল্যবিয়ে রোধ করতে আমাদের গ্রামে গ্রামে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটিও আছে। তবে মহামারিতে পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবে বাল্যবিয়ের হারটা বেড়ে গিয়েছে। সমাজে কন্যাশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম, এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করা জরুরি।
সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, বর্তমানে অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভরতার কারণে আমরা কিছুটা একা ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। শিশু ও কিশোরী-কিশোরদের আত্মবিশ্বাস তৈরিতে এ বিষয়টির ওপর দৃষ্টি দিতে হবে।
জাভেদ আখতার বলেন, ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ইউনিলিভার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারের অংশীদার হিসেবে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ডগুলো সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখছে। এরই অংশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ডাভের সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট।
ওরলা মার্ফি বলেন, এদেশে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনাকালে আমরা তরুণদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। তারা আমাদের উৎসাহিত করে ও স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধানে নানাভাবে সাহায্য করছে। আমি মনে করি নারীর প্রতি সহিংসতা নারীর উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়