তেজগাঁওয়ে বাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে দুই শিক্ষার্থী দগ্ধ

আগের সংবাদ

১৫ সদস্যের দলে আট নতুন মুখ : আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে টাইগাররা

পরের সংবাদ

স্মরণ সভায় দোরাইস্বামী : গান্ধীজীর জীবন ও তার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অহিংস মতবাদের প্রবক্তা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে উদযাপিত হলো। বাংলাদেশেও দিনটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও মহাত্মার স্মৃতিধন্য নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ গ্রামে গান্ধী আশ্রমে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
গতকাল শনিবার নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ও ভারতীয় হাইকমিশন যৌথভাবে ‘অহিংসা, সত্যাগ্রহ এবং মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। ২০০৭ সাল থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী। গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন আবাসিক সমন্বয়কারী মি. টুয়োমো পুটিআইনেন এবং আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের ট্রাস্টি এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
আনিসুল হক, ড. আবদুল মোমেন এবং বিক্রম দোরাইস্বামী সংস্কারকৃত গান্ধী স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। বিশিষ্ট অতিথিরা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিচিহ্ন এবং জাদুঘরের প্রদর্শনীর শিল্পকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, গান্ধীজীর জীবন এবং তার বাণী আজো প্রাসঙ্গিক। তিনি ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, গান্ধীজীর সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং অহিংসার আদর্শ তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে অবদান রেখেছিল।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চালিকা অবলম্বনে একটি বিশেষ নৃত্যনাট্য উপস্থাপন করে ঢাকার স্পন্দন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
এদিকে, অহিংস আন্দোলনের এই পুরোধা ব্যক্তিত্বকে নিয়ে শান্তি সমাবেশ করেছে গান্ধী স্মারক সনদ। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মহাত্মা গান্ধী স্মারক সনদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নাসিফ মকসুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই শান্তি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান, গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়ক আলমগীর কবির, মো. আবদুল মান্নান, গান্ধী স্মারক সনদের সমন্বয়ক কবির সুমন ও মাসুদুর রহমান। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি চিরকাল মানুষকে পথ দেখাবে এমন মন্তব্য করে মহাত্মা গান্ধী স্মারক সনদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নাসিফ মকসুদ বলেন, মহাত্মা গান্ধী চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন শুধু ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা হিসেবে নয়, বরং অহিংস পদ্ধতিতে যে কোনো অন্যায়-অবিচার ও হানাহানির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কারণে বিশ্বের মানুষের কাছে অহিংস আন্দোলনের পুরোধা হিসেবে তিনি চিরকাল শ্রদ্ধাভাজন থাকবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়