হাসেম ফুডে অগ্নিকাণ্ড : ৩ মাস পর দগ্ধ ছেলের মরদেহ পেলেন বাবা

আগের সংবাদ

রোহিঙ্গাদের অস্ত্র-অর্থের উৎস কী

পরের সংবাদ

ছোটগল্প > একগুচ্ছ দীর্ঘশ্বাস মহি মুহাম্মদ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পড়ন্ত রোদের আলোয় ওকে অচেনা মনে হচ্ছিল। আপনাদের বললেও আপনারা বিশ্বাস করবেন না। তারপরও নেহাত যদি কেউ বিশ্বাস করেন আমার কথা, সে জন্যই বলছি। ওকে প্রথম দেখাতেই সবার ভালো লেগে যায়। একটু কথা বিনিময় করলে মনে হবে ও আপনাদের অনেক দিনের চেনা। চোখ তো ফেরাতেই পারবেন না, সঙ্গে সঙ্গে মনও। নির্ঘাত আপনি প্রেমে পড়ে যাবেন। কী, জীবনে প্রেম এসেছে তো? না হলে এই কথা আপনার না শোনাই ভালো। এখন শুনবেন কি শুনবেন না, তা আপনাকেই ঠিক করতে হবে।
হলুদ মাটিতে ওর পা জোড়া কী নিপুণভাবে চলতে থাকে। এত মেপে মেপে কীভাবে হাঁটে মানুষ, ভেবে পাই না। কী নিটোল ছন্দ। অবশ্য প্রত্যেকেরই হাঁটার একটা ছন্দ আছে। আলাদা আলাদা। তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগে। আমি যখন এই সৌন্দর্যে মগ্ন হতে থাকি তখনই ও পিছিয়ে আসে। আমি যতই ওকে আগে বাড়তে বলি, ও শুধু বলে অসুবিধে নেই।
আমরা পাঁচজন। মাসুদ, অমিত, ফারজানা, পিয়া ও আমি। হাঁটতে থাকি পড়ন্তবেলার রোদকে পেছনে ফেলে। আরেকটু পড়েই সন্ধ্যে নামবে। বাতাসে একটু একটু শিশিরের আবির্ভাব। একটু পরেই কচিধানের পাতার ডগায় মূল্যবান মুক্তোদানার মতো শোভা পাবে শিশিরবিন্দু। চারজনের হাঁটতে সমস্যা নেই। আমারই হাঁটতে একটু বেগ পেতে হয়। মানে খোঁড়াতে হয়। আমি হচ্ছি জহির রায়হানের তপু। যার বাঁ পায়ের টিবিয়া ফেবুলা মাত্র দু ইঞ্চি ছোট। যখনই আড্ডায় বসি কোনো আবেগতাড়িত কথা আমার বুকের ভেতর কলাগাছের ভেলা ভাসায় তখনই আমার তপু হয়ে যেতে ইচ্ছে করে। আমিও মনে মনে ভাবি কোনো একদিন একটা গুলি আমার কপাল ভেদ করে বেরিয়ে যাবে। জানি না- এই ধরনের ভাবনার ভিত্তি কী। নাকি আমি দুঃখ বিলাসী- এই জন্যই এসব ভাবনা আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে, কে জানে, কেন?
আমরা যাচ্ছি অমিতের চাচার বাংলো বাড়িতে। এটা পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। সবাই এক নামে চেনে। নাম বললে আপনারাও চিনবেন। কিন্তু তাতে গল্পের রসে বিঘœ ঘটবে মনে করে, আমি নামটা নাই নিলাম। অঢেল সময় আমাদের হাতে। ভার্সিটির ক্লাস বন্ধ। অনাকাক্সিক্ষত বন্ধ। এ বন্ধ আমরা কেউ চাইনি। দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অতঃপর রক্তপাত। কর্তৃপক্ষ বেসামাল ষাঁড়ের মতো যুবকদের প্রশমিত করার জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে। এমন ব্যবস্থা হরহামেশাই নিতে হয় তাদেরকে। আর আমরা কতিপয় তরুণ সুযোগ বুঝে যথার্থ সময় ব্যয় করতে ঘুরতে চাই, অচেনা জায়গাগুলোয়।
ভার্সিটির ক্যাম্পাসে সোনালুগাছের বাহারি রঙে যখন রোদের ছটা এসে লাগে আমরা দু-তিনজন তার তলায় আড্ডার ছলে শিঙাড়া সমুচায় কামড় বসাই। তখন একদিন দেখেছিলাম ফারজানা একটা জলপাই রঙের গাড়ির ভেতর থেকে নামছে। এক সুদর্শন যুবক তাকে নামিয়ে দিয়ে অল্পকিছু কথা খরচ করে জলপাই রঙের ফড়িংটা নিয়ে উধাও হয়ে গেল। ফারজানা আমাদের দেখতে পেয়ে চলে আসে আড্ডায়। আড্ডা জমে ওঠে দিনের পর দিন এভাবে। ক্যাম্পাসে প্রকৃতির কোলে আমাদের আড্ডা বাড়ে। আর সে আড্ডায় বড় বাগড়াও দিত ফারজানা। ও কিছুদিন পর পরই উধাও হতো। বিরক্ত লাগত আমার, বোধকরি অন্যদেরও লেগে থাকবে। কারণ ফারজানা না থাকলে আমরা এমন হৈ হৈ করে কোথাও যাওয়ার উৎসাহ পেতাম না। আসলে ওর মাথা থেকেই এসব বের হতো।
চলো, আজ ওখানে যাই। ওদিকে ওই গাছে ফুল ফুটেছে। ওদিকে টিয়ে পাখির ঝাঁক নেমেছে। কিংবা পেছনের লেকে অতিথি পাখির দল এসেছে, চলো দেখে আসি।
ওর ভাই জলপাই রঙের গাড়িটা নিয়ে আসত আর ওকে নিয়ে যেত। যেটা আমাদের একদম পছন্দ হতো না। ওর বাসা ক্যান্টনমেন্টে।
ফারজানার চেহারা-সুরত যে খুবই চমৎকার তা এতক্ষণে আপনাদের বুঝে যাওয়ার কথা। যদি না বুঝে থাকেন তাহলে এবারে একটু তার সম্পর্কে বলার অপচেষ্টা করতে পারি আমি। কী বলেন? আসলে অপচেষ্টা বললাম এ কারণেই যে আমি ভাষাবিদ নই, সঠিক শব্দের অভাবে ওর রূপ যৌবন ফুটিয়ে তোলা আমার জন্য দুষ্কর্ম। এ প্রসঙ্গে আলাওলের শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে। তার পদ্মাবতীর রূপ যৌবন বর্ণনায় যে ছুরির মতো শব্দ ব্যবহার করেছেন তা অনিন্দনীয়। এতে পাঠকমাত্রই বুঝতে পারেন নারীটি কিরূপ ধারাল। ফারজানার অপরূপ মিষ্টি হাসির তুলনা মেলা ভার। ওর মধ্যে খুঁতখুঁতে স্বভাব নেই। নেই মেয়েলি স্বভাবও। অনায়াসে সে আমাদের সঙ্গে মিশে যায়। ছেলেদের সঙ্গে মিশতে গিয়ে এই যেমন তুই একটু সরে বসতো এমন কথা কখনো ওর মুখ দিয়ে বের হয় না। ওর শরীরের দিকে হঠাৎ চোখ পড়লে চোখে আগুন লেগে যায়। ফেরানো যায় না। আর যদিও চোখ ফেরাতে হয় তখন গানের লিরিকের মতো বলতে হয়- ‘চোখ ফেরানো যায় গো, তবু মন ফেরানো যায় না, কেমন করে রাখি ঢেকে মনের খোলা আয়না।’
যা হোক আপনাদের বলছিলাম অমিতের চাচার বাংলোর কথা। বন্ধুদের মধ্যে মাসুদের কোনো কমেন্ট ছিল না ফারজানা সম্পর্কে। কিন্তু অমিতের ধারণা তার টাকা-পয়সা বেশি, তাই ফারজানা ওর। অমিত আর ফারজানার ভাবই আলাদা। এত অন্তরঙ্গভাবে কথা বলে, দেখে যে কেউ ভুল বুঝতে পারে। তারপরও আমি টের পাই ওর উপস্থিতি। সেদিন ক্যাম্পাসে জারুল গাছের নিচে যখন বৃষ্টি এলো তখন কী এক অভাবনীয় সুখে আমি আঁতকে উঠেছিলাম। একজোড়া হালকা নরম ঠোঁট আর ওর বুকের নিবিড় স্পর্শ আমাকে বুঝিয়ে দিল, সে যেন আমার। অমিতের কাছে কিছুতেই এ কথা শেয়ার করা যায় না। ও হয়তো আমাকে মেরেই বসবে। তবে দার্শনিক মাসুদের সঙ্গে এ নিয়ে যখন আলাপ করছিলাম তখন মাসুদ মৃদু একটা হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে দিয়ে বলল, দ্যাখ, কী হয়!
তবে অরণ্যের সেই রাত্রিতে ফারজানা আমার সঙ্গেই ছিল। তবে অমিতের সঙ্গে যখন বাংলোর ছোট মাঠটায় গায়ে গা লাগিয়ে হাঁটছিল তখন আমার বুকের মধ্যে কী যেন হচ্ছিল। মাথা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে মুডটা কেমন অফ হয়েই থাকত যদি না ফারজানা সবার চোখের আড়ালে নিয়ে ওর বুকের ওমে আমাকে তা না দিত। আমার উচ্ছ¡াস তারপর বেশ বেগবান হয়েছিল।
আপনারা নিশ্চয়ই বিরক্ত হচ্ছেন! আসলে যেটা আপনাদের জানাতে চাই তা আরো পরে সংঘটিত হয়েছিল। যখন আমাদের ভার্সিটির পড়াশোনা শেষ হলো, তারও কিছুদিন পরের ঘটনা।

০২.
পরীক্ষা শেষ। তাই চেয়েছিলাম কোনো কিছুতে ঢোকার আগে একটু মায়ের সঙ্গে কাটিয়ে যাই। একদিন বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ের চূড়ায় বৌদ্ধ আশ্রমে বসে আছি। তখন সবাই যে মেয়েটিকে দেখে চমকে উঠেছিল, সে ফারজানা। এখানে ফারজানা কেন? কাছেই একটা পাহাড়ি ক্যান্টনমেন্ট আছে, ওখানে ফারজানার ভাই চলে এসেছে। তাই ওর মা ও ফারজানার আগমন। মনটা ফুরফুরে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষের কপালে সুখ নাকি বেশিদিন সয় না। আমারও তাই হবে, না হলে এমন করে কেন মায়াজালে ধরা পড়ব! দোষ তো আমার তেমন ছিল না। অবশ্য আপনারা এ কাহিনী পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় জানাতে পারবেন, কে দোষী।
চিরদিন আম কাঁঠালের ঘ্রাণ কেমন আমাকে উন্মনা করে। তার ওপরে যদি ঝির ঝিরে বৃষ্টি থাকে কথাই নেই। রাস্তার পাশে আমাদের বাড়ি হওয়াতে গাড়ির শব্দ আমাদের তেমন করে সচকিত করে না। যখন জলপাই রঙের গাড়িটা আমার ওপর আলো নিক্ষেপ করল তখনও আমি বুঝিনি আমার মৃত্যুর পরোয়ানা আমার দোরগোড়ায়। কোনো কথাবার্তা ছাড়া মেজর কামরান আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে দিল গাড়ির পেছনে। হায় বৃষ্টি, হায় শোঁ শোঁ বাতাস, কেউই আমার চিৎকার শুনতে পেল না। সিনেমার দৃশ্য যে বাস্তব জীবনেও ঘটতে পারে তা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। বেশিদূর নিতে হলো না আমাকে। পাহাড়ের ঢালু থেকে নামার সময় রশিটা গলায় পেঁচিয়ে গিয়েছিল। এই শরীরটা আর কেউ চিনবে কিনা, কে জানে!

০৩.
শাদা দেয়াল। একটা ফ্যান অহেতুক ঝুলে আছে। ধবধবে শাদা বিছানা। চোখ বুলিয়ে ক্ষান্ত হলাম। কিছুক্ষণ আগে কে যেন আমার নাম ধরে ডেকেছিল। অনেক দূর থেকে ডাকছিল। কারণ গলার স্বরটা কানের ভেতর ভ্রমরের গুঞ্জনের মতো মনে হচ্ছিল। আমি আমার ঘরে নেই। এটা অন্য কোথাও। হ্যাঁ, দরজার বাইরে কথা শোনা যাচ্ছে। শুভ্র পোশাক পরা একটা বালিকা পরী ঘরে ঢুকল। তার দিকে তাকিয়ে আছি আমি।
সে মিষ্টি করে হেসে বলল, এখন কেমন আছেন?
আমি বললাম, ভালো।
চোখের পাতা বন্ধ করলাম। কারণ আমার চোখের অদৃশ্য ক্যানভাসে একটা বীভৎস মুখ আর থেঁতলানো শরীর নিয়ে কে যেন এসে দাঁড়িয়েছে। কিছু বলতে পারছি না, কারণ তার মুখের চেহারাটা অস্বাভাবিক। শুধু মনে পড়ে এই দৃশ্য দেখার পর আমার আর কিছু মনে নেই। আজ কত তারিখ, কে জানে! আয়নায় নিজের মুখটা যদি দেখতে পেতাম!
আবার আমি সুস্থ হয়ে উঠছি। আবার টিলার ওপর সবুজ খেতে আমি কাজ করতে পারব। নানা ভাবনায় জড়িয়ে যাচ্ছে আমার চিন্তা। না, ফিরে আসার পর আর দেখা হয়নি ফারজানার সঙ্গে। আমার একটা উচিত শিক্ষা হয়েছে। মনকে শাসিয়ে দিলাম আর প্রেম করবি?
বাড়িতে ফিরে এলাম। দু’মাসের ব্যবধানে আবার আমি হাঁটতে শিখলাম। যা হয়েছিল, ভেবেছিলাম এই পৃথিবীর রূপ বুঝি আর কোনোদিন দেখব না। যা হোক, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে- এই ভেবে লেগে গেলাম দোকান করতে। মানিকছড়ি বাজারে ছোট একটা চায়ের দোকান দিয়ে শুরু করলাম। আস্তে আস্তে দোকান জমবে। ঘরবাড়ি বাড়বে। তারপর হয়তো একদিন সংসার হবে। আমাদের বাড়ির পাশে অনেক বড় জায়গা তারকাঁটায় ঘেরা হয়েছে। খামার বাড়ি করছে। কে বা কারা। মা বলেছিলেন এক দশাসই মহিলা আর তার স্বামী ওই জায়গার মালিক। মাকে নাকি বলে গেছে আমরা যদি জায়গাটা ছেড়ে দিই তবে ওনাদের নাকি ভালো হয়। মা অসম্মতি জানালে মহিলা নাকি বেশ ক্রুদ্ধ হয়েছেন। এরপর আরো কয়েক দিন মহিলা এসেছেন; কিন্তু আমার সঙ্গে আর তার দেখা হয়নি। মা বলেছিলেন, বাজারে আমার সঙ্গে দেখা করতে কিন্তু তিনি আসেননি।
অবশেষে দেখা হয়েই গেল। সেদিন আসলে চূড়ান্তভাবে আমাদেরকে ভিটে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হলো। আমি ভেবেছিলাম ফারজানার গল্প শেষ হয়ে গেছে আমার জীবন থেকে। কিন্তু না। ফারজানা যে আবার এভাবে ফিরে আসতে পারে তা আমি কেন কেউ কোনোদিন ভাবতে পারবে না। বিশাল মোটাসোটা এক মহিলাকে দেখে আমি চমকে গিয়েছিলাম। মহিলা দাঁড়িয়েছিল তার জলপাই রঙের গাড়ির কাছে। আর তার ভাড়া করা মানুষগুলো আমাদের জায়গার ওপর বেড়া দিচ্ছিল। আমি তখনো ফারজানাকে চিনে উঠতে পারিনি। যখন সে আমার মাকে খুব বাজে ভাষায় গালাগাল দিচ্ছিল তখন আমি ক্রুদ্ধ হয়ে লাফিয়ে উঠেছিলাম। আমার মুখেও ছাপার অযোগ্য কিছু ভাষা এসেছিল। কিন্তু হঠাৎ তা থমকে গেল কারণ যতই মোটা আর বীভৎস সে হোক না, যে মুখ, যে ঠোঁট একদিন আরাধ্য ছিল তা কি চিনে উঠতে পারব না!
চশমার ভেতরে তার চোখ ও মুখের দুটোরই রঙ পাল্টাতে থাকে। আর এই ফাঁকে আমি ভাবি সে হয়তো উচ্চ রক্তচাপ, নচেৎ আরো গুরুতর রোগে ভুগছে। না হলে সেই সৌন্দর্য হারাল কোথায়! আমার আরো কিছু ভাবনার অবসরে হঠাৎ সে চেঁচিয়ে তার ম্যানেজারকে ডাকল।
ম্যানেজারকে আরো কিছু টাকা বেশি দিতে বলেই তার গাড়ি স্টার্ট নিল। আমি অবাক হয়ে নিজের আবিষ্কারে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার ভেতরে এতদিন পর্যন্ত ওর জন্য যে অক্ষয় প্রেম ছিল, তা কোথায় পনি উবে গেল! ভালোবাসা কি এমনই, মাঝে মধ্যে মুক্তি পেয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে? বিধাতাকে কি শুকরিয়া জানানো উচিত নয় আমার!
হায় প্রেম! বলে, একটা নয়, দুটো নয়, আমার বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করে বেরিয়ে গেল- একগুচ্ছ দীর্ঘশ্বাস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়