নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন চায় জাতীয় পার্টি

আগের সংবাদ

জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশন : টানা ১৯ মাস পর বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

অনুদান ফেরত প্রসঙ্গ : ‘শর্ত’ নয় ‘কপিরাইট ভ্যালু’!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন প্রতিবেদক : চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ উপন্যাস থেকে সিনেমা নির্মাণের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে অনুদান পান অমিতাভ। কিন্তু সিনেমাটি কিছু কারণে নির্মাণ করছেন না পরিচালক। এর কারণ হিসেবে নির্মাতা বলেছিলেন, ‘প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পরিবার যে শর্ত দিয়েছে সিনেমাটি নির্মাণের জন্য, তা মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা সিনেমাটি আর করছি না।’
অমিতাভের এই ‘শর্ত’ শব্দটিকে পরিবর্তন করে প্রয়াত হুমায়ূনের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ‘কপিরাইট ভ্যালু’ বলেছেন। শাওন বলেন, ‘অনেক জায়গায় দেখছি এটাকে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে। এটা কিন্তু কোনো শর্ত জুড়ে দেয়া হয়নি, এটা কপিরাইট ভ্যালু চাওয়া হয়েছে। এটা সবার কাছেই চাওয়া হয় এবং হবে। এই ভ্যালুটা তার মনমতো হয়নি।’
সিনেমাটি কেন হচ্ছে না? হুমায়ূন পরিবারের সদস্যরা কী এমন বললেন যে সিনেমাটি করতে পারলেন না অমিতাভ রেজা, এমন নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকে শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি নিয়ে সিদ্ধান্ত আমার একার ওপর নির্ভর করে না। কারণ হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের আমি একমাত্র সদস্য না এবং এই সিদ্ধান্তগুলো আমি একা নিই না। হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের যারা সদস্য আছেন, হুমায়ূন আহমেদের যারা উত্তরাধিকারী আছেন, তারা সবাই মিলে এ সিদ্ধান্তটা নেন। হুমায়ূন আহমেদের সব ধরনের সৃষ্টির বিষয়েই এমনটাই হয়। যেহেতু আমার সঙ্গে সাংবাদিকদের পরিচয় আছে, কোনো ইস্যুতে অনেকেই আমাকেই ফোন করেন। দিন শেষে যখন নিউজটা ছাপা হয়, তখন কমেন্টে যা গালাগালি সব আমি একাই খাই। হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮-এর বেশি, তাদের প্রত্যেকের মতামত মিটিং করে নেয়া হয়। কোনো চিঠি চালাচালি করে নয়, একদম সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের দেশের কপিরাইটের ধারণাটা খুব হালকা, সবার মধ্যে ধারণাটা নেই। যিনি ক্রিয়েটর, তিনি যদি লেখক হন বা পেইন্টার হন, তিনি মারা যাওয়ার পর তার ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টির কপিরাইট তার উত্তরাধিকারদের হয়। হুমায়ূন আহমেদের যে ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি আছে, তার কপিরাইট হোল্ডার পরিবারের সবাই। এখন এই কপিরাইট ভ্যালুটা কে নির্ধারণ করবে, নিশ্চয়ই তার পরিবারের সদস্যরা নির্ধারণ করবে, ঠিক? এখন কারও পছন্দ হলে সেটা সে নেবে, না হলে সে নেবে না। হুমায়ূন আহমেদের যে কপিরাইট ভ্যালুটা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা পরিচালকের পছন্দ হয়নি।
কপিরাইট ভ্যালু অনেক বেশি কিনা জানতে চাইলে শাওন বলেন, এটা আমরা অবশ্যই বিবেচনা করি এবং এটা আমাদের কাছে উচ্চ মূল্যায়িত মনে হয়নি। আমরা তো সাতজন মিলে কথা বলি, সবাই একমত হয়েছি এবং আমাদের তেমনটা মনে হয়নি। আর এখানে মানবিকতার কোনো বিষয় থাকা উচিত না। আমি এটাকে আমাদের দুর্ভাগ্য বলব যে, অমিতাভ রেজার মতো গুণী পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস থেকে সিনেমা বানাবার সুযোগটা নিতে পারলেন না।
আর আমি জানি না, এখানে কে ট্রাস্টি বোর্ডের কথা বলেছে। হুমায়ূন আহমেদের কোনো ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়নি। কোনো অফিসিয়াল ট্রাস্টি বোর্ড নেই। হয়তো হবে, আমি সেই প্রস্তাবটা তুলেছি। এটা খুব সম্ভবত হবে কিংবা হবে না। কিন্তু আমরা হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্যরা মিলে সিদ্ধান্ত নিই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়