কার্টুনিস্ট কিশোরের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

আগের সংবাদ

সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা : টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

রান খরায় টাইগার ব্যাটসম্যানরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চলতি বছরের অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তার আগে বাংলাদেশকে ওমানে বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে হবে। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে ভাবাচ্ছে টাইগার ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফরম্যান্স। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভুগেছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দুষছেন মিরপুরের মন্থর উইকেটকে। প্রশ্ন উঠতেই পারে দেশের ক্রিকেটাররা যে পিচে খেলতে অভ্যস্ত না এমন পিচ কেন তৈরি করা হলো? নিজেদের সুবিধা মতো পিচ বানিয়েও কেন কিউইদের অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচ বাজেভাবে হারতে হলো!
ম্যাচ জয় পরাজয়ের পরিসংখ্যান পরে। ঘরের মাঠে সুবিধামতো পিচ বানিয়ে ফায়দা তুলে নেন স্বাগতিকরা। কিন্তু বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স কেন সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী? শেষ ৫ টি-টোয়েন্টিতে টাইগার ব্যাটসম্যানরা কেউই তেমন উজ্জ্বল ছিলেন না। বলার মতো পারফরম্যান্স করেছেন শুধু অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ও ওপেনার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাইম। রিয়াদ ৫ ম্যাচে করেছেন ১২০ রান। সেখানে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৪৩। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ৮৯.৫৮। যা ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সঙ্গে একেবারেই মানান সই নয়। নিউজিল্যান্ড সিরিজে রিয়াদের পর ১০০ রানের ঘর পার করেছিলেন কেবল মোহাম্মদ নাইম। সিরিজের সব ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ১০৫ রান। তবে ওপেনিংয়ে নেমে তার স্ট্রাইকরেটও যে মানসম্মত ছিল না। সিরিজে তার সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন সমানসংখ্যক বল খেলে। এখানে কোনো ক্রিকেট বোদ্ধাই মিরপুরের মন্থর উইকেটকে দোষ দিবেন না। কারণ একই ম্যাচে বিপক্ষে দলের টম লাথাম তিনে নেমে ১৩৩ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৬৫ রান। তার চেয়ে বড় কথা, সে ম্যাচে ৭ নাম্বার পজিশনে ব্যাট করতে নামা কিউই ব্যাটসম্যান ১২৫ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ১২ রান। টাইগার এই দুই ব্যাটসম্যান আশানুরূপ ব্যাটিং পারফরম্যান্স করেননি ঠিক, তবে অন্য ব্যাটসম্যানদের তুলনায় রানে কিছুটা হলেও ছন্দে ছিলেন। টাইগার টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান লিটন ৫ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৬৫ রান। যেটা টম লাথামের এক ইনিংসের সমান। অন্যদিকে দলের দুই সিনিয়র তারকা সাকিব আর মুশফিকের ব্যাট যেন কথাই বলেনি। শেষ ম্যাচ না খেলা সাকিবের ব্যাট থেকে ৪ ম্যাচে এসেছে মাত্র ৪৫ রান। যেখানে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৫। আবার এক ম্যাচে সাজঘরে ফিরেছেন শূন্য রানে। আর বাংলাদেশের মিস্টার ডিফেন্ডেবল মুশফিক করেছেন ৫ ম্যাচে মাত্র ৩৯ রান। যেখানে আবার রয়েছে দুটি শূন্য রানের ইনিংস। কিউই সিরিজে ৩ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান করেছেন মাত্র ২৫ রান। মিরপুরের মন্থর উইকেটে টাইগারদের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা করা অনেকে সমীচীন নাও মনে করতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়