জাপানি মাকে নিয়ে অপপ্রচার বন্ধে আদেশ আজ

আগের সংবাদ

শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বুনন কীভাবে : দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় মনোযোগী ও মানসিকভাবে চাঙ্গা করার চ্যালেঞ্জে শিক্ষকরা

পরের সংবাদ

মান্দায় বেড়েছে অপরাধ পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : মান্দায় আবারও বেড়েছে চুরি ছিনতাই। কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। অহরহ ঘটছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোটবড় চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। এমনকি দিনদুপুরে থানা সংলগ্ন চুরির ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়রা চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্ক নিয়ে দিন পার করছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর দিনদুপুরে একজন ভ্যানচালককে মারধর করে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে যায় চোরের দল। তার এক দিন পর ভ্যানচালককে অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা সদরে সিসিডিবির পাশে আতিক ব্রিকস থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। আহত ভ্যানচালক উপজেলার কালিকাপুর ইউপির কালিকাপুর গ্রামের অছিমুদ্দিনের ছেলে শাহাজামাল। একই তারিখে রাতের বেলায় উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউপির পারনুরুল্লাবাদ গ্রামে জাকির হোসেনের বাড়িতে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে উপজেলার মঞ্জিলতলা বাজারে মেসার্স রিফা ট্রেডার্সে চুরি সংঘটিত হয়। ১২ আগস্ট উপজেলার ভালাইন ইউপির আয়াঁপুর বাজারে দুই নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে, মাহি টেলিকম ও হাজী ক্রপ কেয়ারে ডাকাতি করে প্রায় ৬ লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
১৮ আগস্ট উপজেলা সদরের ইনডেক্স টেকনিক্যাল বিএম এন্ড জেনারেল কলেজে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। গত ৪ সেপ্টেম্বর থানা সংলগ্ন দোসতি গ্রামের দেলবরের বাড়িতে বেলা ১১টার সময় তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা টের পেয়ে চোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এছাড়াও উপজেলা সদরের প্রসাদপুর বাজারে জনতা ব্যাংকের সামনে দুপুর বেলা মোতাহার হোসেন নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ছিনতাইকারীরা। গত ৩ সেপ্টেম্বর থানা থেকে ৫০০ গজ দূরে শ্যামল ভ্যারাইটিজ স্টোরে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে মালামালসহ তিন লাখ টাকা নিয়ে চলে যায় ডাকাত দল। এভাবে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ও হাটবাজারে। এ রকম ঘটনায় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার মান। অনেক পরিবার সহায় সম্বল হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থানায় জানিয়েও অনেকে ফিরে পায়নি তাদের মালামাল ও টাকা-পয়সা। উদ্ধারে নেই তেমন কোনো অগ্রগতি।
অনেক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চুরি-ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনার পর থানায় জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কিছুদিন দৌড়ঝাঁপ করে আর থানায় যাইনি। প্রসাদপুর ইউপির মঞ্জিলতলা বাজারের কীটনাশক দোকানদার আশরাফুল ইসলাম জানান, এখনো চুরি যাওয়া মালামাল কিছুই উদ্ধার হয়নি। পুলিশের ভূমিকা নীরব।
উপজেলা সদরের ইনডেক্স টেকনিক্যাল বিএম এন্ড জেনারেল কলেজের অধ্যক্ষ মোজাফফর হোসেন বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেনি। পুলিশ প্রশাসনের এমন আচরণে আমি বিব্রত এবং মর্মাহত।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করে এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়