জাপানি মাকে নিয়ে অপপ্রচার বন্ধে আদেশ আজ

আগের সংবাদ

শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বুনন কীভাবে : দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় মনোযোগী ও মানসিকভাবে চাঙ্গা করার চ্যালেঞ্জে শিক্ষকরা

পরের সংবাদ

গড়াইয়ের ভাঙনে বিলীন শ্মশান জমি ও ঘরবাড়ি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদীর অব্যাহত ভাঙনের ফলে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের সমাধিনগর মহাশ্মশানের চিতা চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া এ ইউনিয়নের চরপোটরা, তারালিয়া, হাবাসপুর গ্রামের সাবেক মেম্বর কামনার বাড়ি, রনজিত মণ্ডল ও হরেন মণ্ডলের বাড়ি, বিজয়নগর হরেন মণ্ডলের বাড়ি ও ফসলি জমিসহ নদীতে বিলীন হয়। কয়েকদিন ধরে গড়াই নদীতে পানি বৃদ্ধি ও হ্রাসের কারণে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। সমাধিনগর মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি আনন্দ মোহন বিশ্বাস বলেন, গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ও ভাঙনে শ্মশানের চিতাটি সকালে চোখের সামনে নদীতে বিলীন হয়েছে।
জঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কল্লোল কুমার বসু বলেন, প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষের মৃত্যুর পর এখানে সৎকার করা হয়। গড়াই নদীর ভাঙনের ফলে শ্মশানটি আজ বিলুপ্তির পথে। আজ সকালেই চিতা নদীতে বিলীন হয়েছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অপরদিকে নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা, জামসাপুর, নারুয়া, বাকসাডাঙ্গী, কোনাগ্রাম, সোনাকান্দর এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে মরাবিলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনের শিকার হয়ে ফসলি জমি, বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হলেও সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো রকম একটি জিও ব্যাগ না ফেলানোর কারণে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম মাস্টার বলেন, মরাবিলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গড়াই নদীর ভাঙনের ফলে পাকা সড়ক ও বেড়িবাঁধ বিলীন হয়েছে। প্রায় ৪০০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে।
সেখানে ৩ দফা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজে আসেনি। আমরা চাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়া হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়