কামরাঙ্গীরচরে কিশোর খুন আটক ৬

আগের সংবাদ

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফেরানোর উপায় কী > স্কুল খুললে উপস্থিতি-অনুপস্থিতি দেখে ব্যবস্থা : পরিচালক (মাধ্যমিক)

পরের সংবাদ

আশুগঞ্জে শহীদ পরিবারের জায়গা দখলের অভিযোগ : বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণ করা জায়গা প্রভাবশালীরা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, প্রভাবশালী মহলটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গাও তাদের দখলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে জায়গাটি দখল অবস্থা থেকে রক্ষা ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
দখলকৃত জায়গা উদ্ধারের জন্য ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসবের পরও প্রভাবশালী মহলটি নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আশুগঞ্জের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গত ২৯ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া অভিযোগপত্রে বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ১১.৩৪ একর ভূমির মধ্যে চারলেন সড়ক প্রকল্পের জন্য সমঝোতার ভিত্তিতে ২.৭৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। সিএস ও এসএ খতিয়ান অনুযায়ী ভূমির পরিমাণ সঠিক থাকলেও বিএস খতিয়ানে চার শতক ভূমি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওই জায়গায় নাহার গার্ডেন মালিক পক্ষ স্থাপনা নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। এতে সরকারি ভূমি দখল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মৃত এলাই বকসের ছেলে জসিম উদ্দিন এবং আব্দুল খালেক এবং মৃত আব্দুল আলিম ওরফে আলেকের ছেলে রুবেল মিয়া তাদের জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বাদী জসিম উদ্দিন ও আব্দুল খালেকের ভাই আবুল হোসেন ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। মামলার মূল বিবাদীরা হলেন- সোনারামপুরের মৃত আজাদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া ও রুবেল মিয়া, মৃত আজাদ মিয়ার স্ত্রী নাহার বেগম, যাত্রাপুরের মৃত সামছুল হকের ছেলে শামীম মিয়া, সোহেল মিয়া ও বড়তল্লার আ. আজিজের ছেলে কুতুবুর রহমান।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শহিদ আবুল হোসেনের পিতা এলাহী বকস (মৃত ফজর আলি ফকিরের ছেলে) সোনারামপুর মৌজার ৩০৬ দাগের ২৮ শতক জমি কিনেন ১৯৪৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চার শতক অধিগ্রহণ করে ও এক শতক তিনি বিক্রি করেন দেন। তবে এলাহী বকসের বাকি ২৩ শতকের মধ্যে ১৬ শতক বিএস খতিয়ানভুক্ত হয়। একই এলাকার আজাদ মিয়া ১৯৮৭ সালের ১৪ জানুয়ারি উল্লিখিত দাগের ৪২ শতক জমি কেনেন। পরবর্তীতে ওই জমির ২৫ শতাংশ বিক্রি করলেও বিএস খতিয়ানে আজাদ মিয়ার নামে ৬০ শতাংশ ভূমি লিপিবদ্ধ করা হয়। আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন বলেন, নিরীহদের জায়গা দখলের পাঁয়তারা হচ্ছে বলে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি। মামলার বাদী উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মৃত এলাহী বকসের ছেলে ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদ মো. আবুল হোসেনের ছোট ভাই আবদুল খালেক বলেন, প্রতিপক্ষ রিপন মিয়া গং আমাদের জায়গা দখল করে নিয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আশুগঞ্জের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, জায়গাটি আমাদের অধিগ্রহণকৃত। এটি দখল হয়ে যাওয়ায় দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। মামলার বিবাদী কামরুজ্জামান রিপন বলেন, আমি কেনো অন্যের জায়গা দখল করতে যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়