মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ

আগের সংবাদ

শিক্ষার্থীদের চোখে সর্ষে ফুল : অ্যাসাইনমেন্ট-ওয়ার্কশিট নিয়ে বাড়াবাড়ি > পাঠ্যবইয়ে নেই এমন প্রশ্নের ব্যবহার > দেখাদেখি ও নকলের সুযোগ

পরের সংবাদ

শেরপুরে কৃষি অফিসের কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাহিদ আল মালেক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরকারি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল করে গড়ে উঠেছে কাঠের বাজার। সীমানা প্রাচীর না থাকায় এবং সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধ বাজার, দোকানপাট, বাড়িঘর গড়ে উঠলেও সেদিকে কারো নজর নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর পৌরশহরের শ্রীরামপুরপাড়ায় ১৯৬৫ সালে মহাসড়ক সংলগ্ন ১.৩০২ একর সম্পত্তিতে গড়ে উঠে কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ গোডাউন। কিন্তু গোডাউনের কার্যকারিতা না থাকায় ধীরে ধীরে জায়গাটি বেদখল হতে শুরু করে। বর্তমানে সেখানকার অধিকাংশ জায়গায়ই কাঠের গুঁড়ি ফেলে দখলে নিয়েছে কাঠ ব্যবসায়ীরা। দিন-রাত সেখানে চলে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠের বিকিকিনি। তাছাড়া নানা অসামাজিক কার্যকলাপও হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু কাঠের বাজারই নয়, সরকারি জায়গায় গড়ে উঠেছে চায়ের দোকান, ঘরবাড়িও। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গোডাউনের দুটি ঘরে বর্তমানে থাকেন কৃষি অফিসের অফিস সহায়ক মর্জিনা বিবি। তিনি বলেন, শেরপুরে চাকরির শুরু থেকেই স্বামী পরিবার নিয়ে এখানে থাকি। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না। মর্জিনার স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, আমরা গোডাউনে থাকি। আর বাকি জায়গায় কী হয় দেখতেই পারছেন। কিন্তু আমরা এসব বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছাতিয়ানী গ্রামের সিদ্দিক হোসেন জানান, ২০-৩০ জন কাঠ ব্যবসায়ী মিলে এই জায়গায় কাঠ ফেলে ব্যবসা করে। সরকারি জায়গা হলেও কেউ তাদের কিছু বলে না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুর উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম বলেন, ইতোপূর্বে জায়গাটি দখলমুক্ত করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু বারবার কৃষি বিভাগের জায়গায় প্রভাবশালীরা ব্যবহার করে। এতে আমরা তেমন কিছু করতে পারছি না। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান জানান, শুধু শ্রীরামপুর মৌজায় নয় উপজেলার আরো কয়েকটি ইউনিয়ন পর্যায়ের বীজ গোডাউনগুলোও বেদখল হয়ে আছে। এগুলো উদ্ধারের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের নিদের্শনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়