মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ

আগের সংবাদ

শিক্ষার্থীদের চোখে সর্ষে ফুল : অ্যাসাইনমেন্ট-ওয়ার্কশিট নিয়ে বাড়াবাড়ি > পাঠ্যবইয়ে নেই এমন প্রশ্নের ব্যবহার > দেখাদেখি ও নকলের সুযোগ

পরের সংবাদ

ক্যাম্প প্রশাসনের আঁতাতে ব্যবসা করছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গফুর মিয়া চৌধুরী, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে : উখিয়া উপজেলায় অস্থায়ীভাবে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোতে দাতা সংস্থাদের দেয়া ত্রাণসামগ্রীতে রোহিঙ্গারা বেশি খুশি। কারণ তাদের চাহিদার চেয়েও বেশি পাচ্ছে। তারা ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে এসব ত্রাণসামগ্রী নির্বিঘেœ বিক্রি করছে। তবে এ ব্যাপারে ক্যাম্প প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক।
জানা গেছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের নির্যাতন কবলে পড়ে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দারা এখন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাস করে নিশ্চিন্তভাবে বসে বসে খাচ্ছে। পাচ্ছে নানা সুযোগ-সুবিধা। ভোগ করছে অতিরিক্ত ত্রাণসামগ্রী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত দেশি-বিদেশি এনজিও সংস্থাগুলো বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে অতিরিক্ত খাদ্যসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী ও নিত্যপণ্য চাহিদার তুলনায় বেশি দেয়ায় তারা স্বদেশে ফিরতেও এখন অনীহা দেখাচ্ছে। এমনকি এসব এনজিও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যেতেও নিরুৎসাহিত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গারা চাহিদার তুলনায় বেশি পাওয়া ত্রাণের মধ্যে চাল, আটা, গম, তেল, ডাল, চিনি, গুড়, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শুঁটকি, সাবান, জ¦ালানি, গ্যাস, পলিথিনের ত্রিপল, মেডিসিন, শিশুদের ভিটামিন, কাপড়, হাঁড়িপাতিল, বাসন, বালতি, বদনা, জগ, পেয়ালাসহ হরেক রকম সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে টাকা-পয়সা জমা করছে। এতে করে রোহিঙ্গারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। তারা ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে এসব ত্রাণসামগ্রী ওপেন বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে ক্যাম্প প্রশাসনের ভূমিকা বরাবরই রহস্যজনক। তারা দেখে ও না দেখার মতো করে থাকে। সরকারি নির্দেশনা মতে, রোহিঙ্গারা তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী বাইরে বিক্রি করতে পারবে না। অথচ একশ্রেণির রোহিঙ্গা ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নিয়মিত বাণিজ্য করে আসছে। হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা। প্রতি মাসে চাঁদা পাচ্ছে ক্যাম্প প্রশাসন।
উপরিমহল পর্যন্ত অবৈধ আয়ের ভাগ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি চরম উদ্বেগের বলে মনে করছেন উখিয়া নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এখন এনজিওর সহায়তায় দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। এদের সঙ্গে আঁতাত আছে ক্যাম্প ইনচার্জসহ প্রশাসনের।
রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদের ব্যবহ্নত মোবাইল নম্বরে কল দিলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহামদ বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়। রোহিঙ্গারা কোনো ধরনের ত্রাণসামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করলে সেটা ঠিক হবে না।
এসব ত্রাণ তারা বাইরে বিক্রি করলে অন্যায় ও বেআইনি হবে। এছাড়া যারা রোহিঙ্গাদের ত্রাণসামগ্রী ক্রয়-বিক্রি করবে তাদেরও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়