ম্যান ইউতে ফিরলেন রোনালদো

আগের সংবাদ

চেনা উইকেটে অচেনা নিউজিল্যান্ড

পরের সংবাদ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নয়নে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ২০ পয়সা) এই ঋণ-সহায়তার পরিমাণ ১৫ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবির সদর দপ্তরে সংস্থাটির বোর্ডসভায় এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে এডিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আঞ্চলিক বাণিজ্যের উন্নয়নে অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশকে বড় অঙ্কের ঋণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ঢাকা-সিলেট বাণিজ্য করিডরের গতিশীলতা, সড়ক নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যের উন্নতির জন্য ১৭৮ কোটি ডলারের মাল্টিট্রান্স ফাইন্যান্সিং সুবিধা (এমএফএফ) অনুমোদন করেছে এডিবি।
বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ২০ পয়সা) এই ঋণ-সহায়তার পরিমাণ ১৫ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। শুক্রবার ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবির সদর দপ্তরে সংস্থাটির বোর্ডসভায় এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে এডিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আন্তর্জাতিক চার করিডর সংযুক্ত করবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। আঞ্চলিক বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। ১৭ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পের বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার তার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে।
প্রকল্পের আওতায় চার আন্তর্জাতিক করিডরে সংযুক্ত হতে বিশাল অবকাঠামো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, বিমসটেক করিডর, সার্ক করিডরসহ আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন’ নামের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। নিকট ও তুলনামূলক দূর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থায় গতি আনা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এর মাধ্যমে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা-সিলেট করিডর বাস্তবায়ন একটি নতুন আঞ্চলিক বাণিজ্য রুট চালু হবে, যা চট্টগ্রাম বন্দরকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে আখাউড়া, শেওলা এবং তামাবিলের তিনটি স্থলবন্দরের মাধ্যমে এবং সেখান থেকে ভুটান ও মিয়ানমার পর্যন্ত সংযুক্ত করবে। করিডরটি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পিত উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ অর্থনৈতিক করিডরেরও কেন্দ্রবিন্দু, যার লক্ষ্য হলো এই অঞ্চলের প্রধান শিল্প যেমন, শক্তি উৎপাদন ও নির্মাণসামগ্রী উৎপাদন এবং দেশের বাকি অর্থনীতির সঙ্গে তাদের আরো ভালোভাবে সংযুক্ত করবে।
এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ সাটোমি সাকাগুচি বলেন, ‘প্রকল্পটি বাংলাদেশের রপ্তানিচালিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তার আঞ্চলিক পরিবহন ও বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে ওঠার অনন্য সম্ভাবনা এবং সুযোগ দেখিয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে দেশের পরিবহন অবকাঠামো উন্নত করা দরকার। ‘সড়কটি দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এসএএসইসি) কর্মসূচির আওতায় ৫ নম্বর করিডরের প্রধান অংশ। এটি পরিবহন খরচ কমাবে, প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং প্রতিবেশী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য স¤প্রসারণে সহায়তা করবে। এই অঞ্চলের মানুষের নিরাপদ প্রবেশাধিকার দেবে। এটি করার মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে অবদান রাখবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঢাকা-সিলেট করিডর প্রকল্পটি চারটি ভাগে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা-সিলেট করিডরের দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। ঢাকা-সিলেট করিডর বরাবর প্রায় ২১০ কিলোমিটার প্রশস্তকরণের কাজ করা হবে। ধীরগতিতে চলাচলকারী যানবাহন লেনসহ রাস্তা করা হবে। ৬০ কিলোমিটার ফুটপাত, ২৬টি ফুটব্রিজ এবং ১৩টি ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। বয়স্ক, নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের চাহিদা এবং সেই সঙ্গে দুর্যোগ এবং জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। ২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৯১ কোটি ১০ লাখ ডলার বাংলাদেশ সরকার তার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে।
এছাড়া এডিবি তার প্রযুক্তিগত সহায়তা বিশেষ তহবিল থেকে ১ মিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। জাপান সরকারের অর্থায়নে জাইকা তহবিল থেকে অতিরিক্ত ২ মিলিয়ন অনুদান দেবে।
এডিবি ঢাকা অফিসের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বর বলেন, এটি বাংলাদেশে এডিবির অর্থায়ন করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প। এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উন্নয়নকাজে ২ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থায়ন করেছিল এডিবি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়