ম্যান ইউতে ফিরলেন রোনালদো

আগের সংবাদ

চেনা উইকেটে অচেনা নিউজিল্যান্ড

পরের সংবাদ

কক্সবাজার সৈকত লোকে লোকারণ্য : স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে : বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এখন লোকে লোকারণ্য। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সৈকতের বালিয়াড়ি, মাঝ সমুদ্র বা সমুদ্রের কূল দখলে নিয়েছে। মেতেছে আনন্দ-উল্লাসে।
গতকাল শনিবার বিকালে কক্সবাজার শহরের শৈবাল পয়েন্ট, লাবনী পয়েন্ট, দরিয়া নগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাঠুয়ার টেক, শামলাপুর, লম্বরী, টেকনাফ হ্যাচারি পয়েন্টে শত শত মানুষকে সময় পার করতে দেখা গেছে। তবে এসব স্পটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা তেমনটা চোখে পড়েনি। যে যার মতো করে ঘুরছে, ফিরছে। কারো মুখে মাস্ক আছে আবার কারো মুখে নেই। এখানে আসলে যে কেউ ভুলে যাবে করোনা মহামারির সেই তাণ্ডবতা। যেন সব কিছু স্বাভাবিক। আগের নিয়মেই চলছে। তবে মাঝে মধ্যে কক্সবাজার শহরের বিচে দেখা গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের আনাগোনা বা টহল। তারা মাইকিং করছে। যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। এখানে সরকারি বন্ধের দিন হওয়ায় লোক সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিচে কার কথা কে শুনে।
টেকনাফ সি বিচে বেড়াতে এসেছেন শহর থেকে শামী জাবেদ ও ইমন নামে দুই বন্ধু। তারা বলেন, এখানের স্যান্ডি বিচ দেখার মতো। হাতের নাগালেই বিচ, তারপরও সচরাচর আসা হয় না। টেকনাফ সি বিচে দীর্ঘদিন পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে আসেন সাইফুল ইসলাম। তিনি টেকনাফ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এই শিক্ষক বলেন, বেশ কিছু দিন পর বিচে এসে বেশ ভালোই লাগল। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নাফ মেরিন শিশু পার্কে ঘোরাঘুরি। এটি চালু হওয়ায় শিশুরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলাদা বিনোদনে অংশ নিল। টেকনাফ সি বিচের পূর্ব পাশে গড়ে তোলা হয়েছে আকর্ষণীয় এ শিশু পার্কটি। এখানে শিশুরা বিভিন্ন খেলাধুলা ও দোলনায় উঠে বিনোদনে হারিয়ে যায়।
পার্কটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কবির বলেন, করোনাকালীন লকডাউন ঘোষণা করায় পার্কটি বন্ধ ছিল। এখন চালু হয়েছে। শিশুরা এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন ইভেন্টে যুক্ত হয়ে আনন্দ-উল্লাস করে বিনোদন করছে। তাদের মনো বিকাশে এটি একটি আকর্ষণীয় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।
টেকনাফ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া জানান, ছুটি হওয়ায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে গাড়ি চলাচল বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখানে তদারকিও বাড়াতে হয়েছে। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়