কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

থিয়েটার মঞ্চে নজরুল

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হাজারো নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে। সে অর্থে সংখ্যার দিক থেকে কাজ নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্ম নিয়ে কমই নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। থিয়েটার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ‘নজরুলের সাহিত্য নিয়ে থিয়েটারে আরো অনেক নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া যেতে পারে নাট্যদলগুলোকে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন নাট্যদল নজরুলের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। আবার নজরুলের সাহিত্য থেকেও নাটক মঞ্চে এনেছে। দেশের নিয়মিত নাট্যদলের পাশাপাশি বেশকিছু শিশুকিশোর নাট্য সংগঠন নজরুলের নাটক মঞ্চস্থ করেছে।
১৯৮৮ সালে সিরাজউদ্দৌলা থিয়েটার মঞ্চে আনে ‘রূপান্তর’ ও ‘অগ্নিগিরি’। ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রামের নাট্যদল তির্যক মঞ্চে আনে নজরুলের কবিতা অবলম্বনে ‘আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’। একই দল ১৯৯৯ সালে মঞ্চে আনে ‘মধুমালা’। ১৯৯৯ সালে ‘ভূতের ভয়’ মঞ্চে আনে হবিগঞ্জের নাট্যদল ‘নাট্যমেলা’। ২০০১ সালে প্রতিবিম্ব থিয়েটার মঞ্চায়ন করে নজরুলের ‘ভিক্ষে দাও’ নাটকটি। ২০০২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাট্যদল সাহিত্য একাডেমি মঞ্চস্থ করেছে নজরুলের ‘রাক্ষুসী’ নাটকটি। নাটকটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাইরে বিভিন্ন মঞ্চে প্রশংসিত হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশকিছু প্রদর্শনী করেছে। এছাড়া লোক নাট্যদল (টিএসসি) মঞ্চে আনে ‘ঝিলমিল’ নাটকটি। অন্যদিকে ২০০৮ সালে লোক নাট্যদল (সিদ্ধেশ্বরী) মঞ্চে আনে ‘মধুমালা’। নজরুলের ‘মানুষ’ ও ‘রাক্ষুসী’ মঞ্চে আনে চাঁদপুরের নাট্যদল অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী। কাজী নজরুল ইসলামের গীতিনাট্য ‘আলেয়া’ অবলম্বনে ২০১০ সালে প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চে আনে নাটক ‘দ্রোহ প্রেম নারী’। ২০১১ সালে এসে ঢাকার নাট্যদল জেনেসিস থিয়েটার মঞ্চে আনে নজরুলের জীবনীভিত্তিক নাটক ‘দামাল ছেলে নজরুল’।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘আলেয়া’ গীতিনাট্য অবলম্বনে নাটক ‘দ্রোহ প্রেম নারী’ ২০১০ সালের ১৭ জুন প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চে এনেছে। রাজা মীনকেতু আর অন্য দেশের রানি জয়ন্তীকে নিয়ে গড়ে উঠেছে নাটকটির কাহিনি। মীনকেতু ফুল ও হৃদয় দলন করতে ভালোবাসে। জয়ন্তী চায় মীনকেতুর রাজ্য ও হৃদয় জয় করতে। এই যুদ্ধ ও ভালোবাসা নিয়েই নাটক এগিয়ে চলে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন রামিজ রাজু। অভিনয় করেছেন অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, সরোয়ার সৈকত, শুভেচ্ছা, অনিন্দ্র কিশোর, ইষ্টের সুমী, নিজাম লিটন প্রমুখ।
২০১৫ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার মঞ্চে যোগ হয় মহাকাল নাট্যসম্প্রদায়ের ‘নীলাখ্যান’ নাটকটি। এরপর অর্ধ-শতাধিক মঞ্চায়ন হয়েছে এ নাটকের। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাপুড়ে’ গল্প আশ্রয়ে নাটকটি রচনা করেছেন আনন জামান। নির্দেশনায় রয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক।
নির্দেশক ইউসুফ হাসান অর্ক বলেন, নাটকের কাহিনীর প্রেক্ষাপট বেদেবহর হলেও কবি নজরুলের অন্তস্রোতে এমন একটি সর্বজনীন বীজ ভাসিয়ে দিয়েছেন, যা স্পষ্টতই গোটা মানবকুলের সর্বকালকে ছুঁয়ে যায়। কবি ও নাট্যকার তাদের মন্ময়তায়-তন্ময়তায় যে জগৎ রচনা করেন, তার চেয়েও ভিন্ন কোনো ভাষা অনুসন্ধান করতে হলে বাংলা নাট্যের সংগীতের ঐতিহ্যের দ্বারস্থ হতেই হয়। কারণ সেখানে অনেক কথা না বলেও বলা হয়ে যায়। ‘নীলাখ্যান’ প্রযোজনাতেও সেই প্রয়াস রয়েছে।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্র অভিনয় করেছেন কোনাল আলী, শাহিনুর প্রিতী, সুরেলা নাজিম, সুমাইয়া তাইয়ুম, নূর আক্তার, মানিক চন্দ্র দাশ, জাহিদ কামাল চৌধুরী, ফেরদৌস ইকরাম, আমিনুল আশরাফ, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, তারেকেশ্বর তারোক, মো. আহাদ, রাসেল আহমেদ, রাজীব হোসেন, ইকবাল চৌধুরী, স্বপ্নিল, মো. শাহনেওয়াজ ও মীর জাহিদ হাসান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়