কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল দুই নারীর

আগের সংবাদ

শাড়িতেই এবার পকেট

পরের সংবাদ

জ্বালানি তেল : বৈশ্বিক বাজার প্রতিযোগিতায় নতুন ৩ দেশ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজারে প্রভাব বাড়াচ্ছে গায়ানা, সুরিনাম ও ঘানা। জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ প্রধান প্রধান দেশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাস প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা ভাবছে। তবে এ প্রচেষ্টায় যোগ দিয়ে নতুন আবিষ্কৃত তেল সম্পদ নষ্ট করার কোনো পরিকল্পনা নেই এসব দেশের। মূল্যহীন হয়ে পড়ার আগেই জ্বালানি তেলের প্রাকৃতিক মজুত যথাযথ কাজে লাগাতে বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে তিন দেশের। ভবিষ্যতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তারে তৎপর হয়ে উঠছে এসব দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর হিউস্টনে তিন দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত অফশোর টেকনোলজি কনফারেন্সে এ পরিকল্পনার কথা উঠে আসে। গত সপ্তাহে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিবেশী দুটি দেশ গায়ানা ও সুরিনাম। সম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশ দুটির অফশোর বেসিনে কয়েকশ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সন্ধান মিলেছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ঘানাও। কনফারেন্সে ঘানার জ্বালানিমন্ত্রী মেথিউ ওপোকু প্রেম্ফ বলেন, আফ্রিকায় আমাদের লাখ লাখ মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত। ফলে বর্তমান বিশ্ব জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকলেও আমাদের ভিন্ন পথে হাঁটতে হবে। ঘানায় প্রায় ৫০০ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রাকৃতিক মজুত রয়েছে। এসব জ্বালানি তেল উত্তোলনে তৎপর হয়ে উঠেছে দেশটি।
এদিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান এক্সন ঘানার গভীর সমুদ্র থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন প্রকল্প থেকে সরে আসে।
মূলত প্রকল্পাধীন অঞ্চলটি ভূমিকম্পের প্রবল ঝুঁকিতে থাকায় এ প্রকল্প থেকে বের হয়ে আসে এক্সন। ফলে প্রকল্প সমুন্নত রাখা এবং জ্বালানি তেল ও গ্যাস ব্লকের উন্নয়নের জন্য বড় অঙ্কের এ ঋণ ঘানার জন্য জরুরি হয়ে পড়ে।
কনফারেন্সে গায়ানার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারাট জাগডিও বলেন, ছোট দেশ হওয়ায় বড় পরিসরে জ্বালানি তেল উত্তোলনের সক্ষমতা ও ফ্রেমওয়ার্ক আমাদের নেই। ফলে আমাদের জ্বালানি তেল খাত দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে না। তবে আমরা ধীরে ধীরে এ খাত সম্প্রসারণের ধারা অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরো বলেন, গায়ানার তিন-চতুর্থাংশই বনাঞ্চল দিয়ে ঘেরা। কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এটি আমাদের বড় ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। জ্বালানি তেল ও গ্যাস উত্তোলনের কারণে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হবে তাতে ভারসাম্য বজায় রাখবে বৃহৎ এ বনাঞ্চল।
তার দেয়া তথ্যমতে, ক্ষুদ্র এ দেশ বর্তমানে দৈনিক এক লাখ ব্যারেলেরও বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি উত্তোলন করছে। এসব তেলের বেশিরভাগই আসে এক্সন ও হেস পরিচালিত স্টাব্রেক ব্লক থেকে।
এদিকে সুরিনামের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্যাট্রিক বার্নিংস বলেন, জ্বালানি তেল ও গ্যাস খাত দিন শেষে আমাদের কতটুকু দিচ্ছে তা অনুভব করতে হবে। তাছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে স্থানান্তরের জন্য আমাদের ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আরো পাঁচটি ব্লকে উত্তোলন দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল কোম্পানিটির।
অব্যবহৃত জ্বালানি তেল উত্তোলনের লক্ষ্যে ফ্রান্সের টোটাল এনার্জিস, কাতার পেট্রোলিয়াম ও যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন করপোরেশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। এরই মধ্যে কোম্পানিগুলো মূল ভূখণ্ডের বাইরে তিনটি ব্লক থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনের অনুমতি পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়