জাসদের পাল্টা প্রশ্ন : ১৫ আগস্ট সেলিম মার্কিন দূতাবাসে কী করছিলেন

আগের সংবাদ

কারা এই আইএস-কে? আফগানিস্তানে সক্রিয় নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠীর কাবুলে হামলার দায় স্বীকার

পরের সংবাদ

ঐশ্বরিক ক্ষমতার একটি চরিত্র : ‘বিদ্রোহী’ কবিতা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১ , ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কোনো এক মধ্য রাতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা প্রাপ্ত হয়ে ‘বিদ্রোহী’ নামক দীর্ঘ কবিতা একটানা এক বসায় লিখে ফেলেন। ‘কবিতা প্রাপ্ত’ বললাম, কারণ লেখালেখির ভাব, জ্ঞান, বিষয়বস্তু, স্বয়ং প্রভুর দান। ওহীর মতো, যা ঐশ্বরিক। বিশেষত কবিতা। চাইলে হয়তো গল্প, প্রবন্ধ লেখা যায়। কিন্তু চাইলেই যে কোনো সময় কবিতা লেখা যায় না। কবিতাকে আসতে হয়। কবিতা প্রাপ্ত হতে হয়। বিদ্রোহী কবিতার উপস্থিতিটা কিছুটা তেমনই। কী এক অলৌকিক ঘোরে যেন তিনি শুরু করছিলেন-
‘বল বীর, বল উন্নত মম শির
শির নেহারি, আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!’
আভিধানিক অর্থে এর মানে ‘আমার এই উচ্চ শির দেখে হিমালয় পর্বতের চূড়া নত হয়েছে।’ এই আমার বা আমিটি কে? কে খোদার আসন ‘আরশ ছিঁড়ে দেবার মতো বিস্ময় সৃষ্টি করতে চেয়েছেন? আর এভাবেই তিনি যেন একটা ঘোরের ভেতর দিয়ে ধ্বংস এবং সৃষ্টির খেলায় উন্মাদ হয়ে ওঠেন। হয়ে ওঠেন নটরাজ, বৈশাখী ঝড়, হয়ে ওঠেন ঐশ্বরিক ক্ষমতার একটি চরিত্র।
‘মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!’
এটাই সেই বিদ্রোহী চরিত্র। যাকে বলা যেতে পারে কবির আরেকটি স্বত্বা বা রূপ, যা তিনি ধারণ করেন। কিন্তু সেই আমিটিকে বন্দি করেন না আমিত্বে। বরং প্রতিটি মানুষের মাঝে ঘুমিয়ে থাকা একজন যোদ্ধা আমিকে জাগিয়ে তোলেন। তিনি বুঝাতে সক্ষম হন যে, তুমি এতটাই উন্নত, এতটাই দৃঢ় অবিচল, তোমার মাথা এত উঁচুতে যে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিমালয় নত হবে, কিন্তু একজন বীর কখনো নত হবে না হিমালয়ের কাছে। এই যে শুরুটা, এটি বিশাল এক তোলপাড়। মানুষকে ঝাঁকিয়ে দেবার মতো। জাতির জাগরণে যা অব্যর্থ এবং যৌবনদীপ্ত বাসনায় অসম্ভব প্রাণাবেগে উচ্ছল প্রতিটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতা শুধু বাংলা কাব্য সাহিত্যেই নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যেও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একটি কবিতা। তথাপি কবিতার শিরোনামটি আমার কাছে সপ্রতিভ একটি চরিত্র, যা ঈশ্বরের প্রতিরূপ। কেন ঈশ্বরের প্রতিরূপ সে কথায় পরে আসছি।
‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’।
প্রথম এই চরণটিতেই যেন জোয়ারের একটি ধাক্কা এসে বুকে লাগে। যা চিত্তাকর্ষী ও নির্ভীকতার ইঙ্গিতবাহী। অর্থাৎ এ এক ধরনের আজ্ঞা বা আদেশ, ঠিক যেন ‘পড়, তোমার প্রভুর নামে।’ যেন এখানে কবি কোনো এক বীরকে অসীম সাহসে উজ্জীবিত করছেন।
‘বল বীর,
বল উন্নত মম শির!
যা টনিকের মতো।
উনিশ শতকজুড়ে যখন রাবীন্দ্রিক প্রভাবে বিভোর বাংলা সাহিত্য, তখন কবি নজরুল তার স্বকীয় ভাষাভঙ্গি দিয়ে, অসাম্প্রদায়িক চিন্তার বৈশ্বিক ঔদার্যতা দিয়ে, সর্বোপরি মানবিকতার প্রসারিত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নিজের আসন করে নিয়েছিলেন শত শত মানুষের মনে এবং বাংলার মূল সাহিত্য আসরে। আর সে কারণেই ১৯২২ সালে ৬ জানুয়ারিতে সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকায় বিদ্রোহী আত্মপ্রকাশের পরপরই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এর যে খ্যাতি। মুজফ্ফর আহমদের কথায় দ্বিতীয় মুদ্রণে বিজলী মোট ঊনত্রিশ হাজার কপি ছাপতে হয়েছিল পাঠক-চাহিদা মেটাবার জন্য। এবং ১৯২২ সালের অক্টোবর মাসে নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’য় বিদ্রোহী কবিতাটি আরো ১২টি কবিতার সাথে ছাপানো হয়। জানা যায়, এর প্রচ্ছদ পরিকল্পনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অংকন করেছিলেন শিল্পী বীরেশ্বর সেন। ‘অগ্নিবীণা’ প্রকাশ করেছিল কলকাতার আর্য পাবলিশিং হাউস। এবং ‘অগ্নিবীণা’ এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে প্রকাশের সাথে সাথেই এর প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং তারপর আরো কয়েকটি সংস্করণ বের হয়েছিল। বাংলা ভাষার যে কোনো কবিতা প্রকাশের ক্ষেত্রে এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা! তাই বলা যায়, বিদ্রোহী কবিতা তথা ‘অগ্নিবীণা’ বাংলা সাহিত্যের মোড়ই ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
আসলে একটি কবিতা শুধু যে সাহিত্যের বিষয়বস্তু বা শুধুই সাবজেক্ট হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়। একটি কবিতা একটুকরো আগুনও হতে পারে। তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ উপনিষদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ তেমনই একটি শক্তিশালী আগুন কবিতা। যা একশ বছর পর হলেও প্রতিবাদের অস্ত্র হিসেবে কিংবা সমতাসূচক প্রয়োগের ক্ষেত্রে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার অবদান এবং শক্তি আজো অ¤øান হয়ে আছে।
আমরা জানি, ৬ এপ্রিল ১৯৪১-এ নজরুল ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতি’র রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সভাপতি রূপে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তারই পরিমার্জিত লিখিত রূপ ‘যদি আর বাঁশি না বাজে’। সেখানে কবি বলেছিলেন ‘আমাকে বিদ্রোহী বলে খামোখা লোকের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। আমি বিদ্রোহ করেছি বিদ্রোহের গান গেয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে। ধর্মের নামে ভণ্ডামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।’ কবির এই উচ্চারণগুলোকে সত্য মেনেই বিদ্রোহী কবিতাটি নিয়ে গভীর করে ভাবলে এর স্বরূপ উদঘাটিত করা যায়। তিনি সম্পূর্ণ কবিতায় ‘আমি’ শব্দটি উচ্চারিত করেছেন ১৪৭ বার। কবিতার এই আমিকে কোনো শক্তির মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ করা যায় না। এইটি অসীম শক্তির প্রতীক। অলিক শক্তির একটি চরিত্র। এইটি আসলে ঈশ্বরের প্রতিরূপ। যাকে দেখা যায় না, ধরাছোঁয়া যায় না, অথচ প্রবলভাবে আছে সকলের মাঝে।
‘আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।’
‘আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,
আমি অবসান, নিশাবসান।
আমি ইন্দ্রাণী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তূর্য;’
বলা যেতে পারে, পুরো কবিতার মর্মমূল নিহিত আছে এই পঙ্ক্তিগুলোয়। তিনি যেন ‘বল বীর’ দ্বিতীয় পুরুষে শুরু করে প্রথম পুরুষের মধ্য দিয়ে স্রষ্টায় পরিণত হয়েছেন। ভারসাম্যময় একরৈখিকতা যা মূলত অসংখ্য ‘আমি’কে যুক্ত করেছে। ঈশ্বরের স্বরূপ যেমন কোন কলুষ, মিথ্যা অন্যায়, অত্যাচার সহ্য না করে কখনো কখনো রুদ্র রুষ্ট হয়ে উঠেন। সব ভেঙেচুরে শেষ করে দিতে চান। তেমনি আবার অসীম দয়ার আধার হিসেবে আমরা ঈশ্বরকে পাশে পাই। কঠিন এবং তারল্যকে অর্থাৎ এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণ-তূর্য কে যিনি ধারণ করেন, সেই পৌরাণিক কৃষ্ণের দুটি রূপ, রোমান্টিসিজম ও মুক্তিকামিতাকেই দেখতে পাই। আবার- তিনি অর্ফিয়াসের বাঁশরী, উতলা মহা-সিন্ধু। তার মানে তিনি পশ্চিমা গ্রিক ঐতিহ্যকেও ধারণ করেছেন। এককথায় আমরা বলতে পারি বিদ্রোহী কবিতার মধ্যামে কবি চমৎকারভাবে ত্রিমাত্রিকতা সমষ্টিগত করে উপস্থাপন করেছেন। হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলিম এবং বৌদ্ধ ধর্মের মিথকে একই সাথে ব্যবহার করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং সমকালের পরিপ্রেক্ষিতকে পুনর্জাগরিত করে মানুষের মধ্যে তুলে এনেছিলেন। তিনি ধ্বংস! মহাভয়, পৃথিবীর অভিশাপ এবং দুর্বার। তিনি বজ্র, ঈশান-বিষাণে হুঙ্কার, ইস্রাফিলের শিঙ্গার, কালবৈশাখী ঝড়, সব ভেঙে চুরমার করতে করতেই তিনি ষোড়শীর বুকের প্রেম, বিধবার ক্রন্দন, চপল মেয়ের ভালোবাসা, অভিমানী চির-শিশু হয়ে ওঠেন। এবং তিনি নিজেকে ছাড়া আর কাউকে কুর্ণিশ করেন না। এ যেন এক অলৌকিক ঘোর। আর সেই ঘোরে তিনি ‘বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির।’
এই উচ্চারণে কি ঈশ্বরের পরাক্রমশালী শক্তির রূপই প্রতীয়মান হয়ে ওঠে না? আর এটাই নজরুলের শিল্পীসত্তার ভিন্ন রূপ। তাঁর মৌলিকত্ব। শোষণপ্রবণতার অপশক্তির বিরুদ্ধে তিনি তীব্রভাবে আঘাত করতে করতে মানুষের ভিতরে লুকায়িত শুভবোধতাড়িত শক্তির সন্ধানে ক্ষ্যাপা দুর্বাসা হয়ে ওঠেন। এবং কবিতার একপর্যায়ে তিনি রণক্লান্তিতে থিতু হন। শুরুর যে তুমুল আলোড়নের তীব্রতা, তা প্রেমে, মমতায় সুষমায়, শান্ত হয়ে আসে। একেবারে শেষে এসে কবি বলেন ‘আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির।’ এই ‘একা’ শব্দটি কবিতাটির আর কোথাও নেই। এবং এই একাকিত্ব যেমন সত্য তেমনই আলোড়িত। নির্মাণের শেষ কোঠায় গিয়ে কীভাবে একজন কবি, একজন স্রষ্টা তাঁর ধ্যানে জ্ঞানে, দিনের অন্তিমে একা হয়ে যান, এ এক চরম উপলব্ধি। আর এই একাকিত্বটিই সেই ‘আমি’। যা অভাবনীয়রূপে তরঙ্গায়িত হয়ে ফিরে আসে আবার সৃষ্টির শুরুতে বা নিজ কেন্দ্রের দিকে। যেন এর শুরু এবং শেষ নেই। হয়তো সেকারণেই আলোচ্য কবিতাটি শতবর্ষকে অতিক্রান্ত করতে চলেছে। ভেবে বিস্মিত হতে হয় যে, একটি কবিতা কতটা শক্তিশালী হলে তা কালের কপালে তিলক এঁকে থাকতে পারে!
যদিও বোদ্ধা সমালোচক এবং নজরুল গবেষকগণ তাঁর সৃষ্টি নিয়ে নানা ব্যবচ্ছেদ করেছেন। বলেছেন মাত্রার ভাঙচুরের কথা। অজস্র তৎসম-তদ্ভব-দেশি শব্দের পাশাপাশি আরবি-ফারসি-গ্রিক ইত্যাদি বিদেশি ও যৌগিক শব্দগুচ্ছ মিশ্রণের কথা, অন্ত্যমিল, মধ্যমিল, অনুপ্রাস, রূপকতা, প্রতীকায়ন, সর্বোপরি স্বরমাত্রিক ছন্দের স্বতঃস্ফূর্ত ও কুশলী প্রয়োগের কথা বললেও কবিকে যেতে হয়েছে নানান পুরস্কার এবং তিরস্কারের মধ্য দিয়ে। কারণ ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় আরবি, ফার্সি শব্দের সাথে সংস্কৃত শব্দের মেলবন্ধনকে মেনে নিতে পারেনি তৎকালীন হিন্দু লেখকসমাজ। তাই এই কবিতাটি আলোড়ন সৃষ্টি পাশাপাশি মুসলিম এবং হিন্দু সমাজে সমালোচনারও ঝড় তুলেছিল। একপর্যায়ে শিরোনামের কবিতাটি চিরকালের মতো তাঁর ললাটে অমোচ্য লেপিত হয়ে গেলো নামের সাথে।
তিনি চিহ্নিত হয়ে যান বিদ্রোহী রূপে। এ এক অভূতপূর্ব জাগরণ! একটি কবিতার শিরোনাম ব্যক্তি কবির নামের সাথে পদবীর মতো যুগ, কাল ছাপিয়ে শতাব্দীকে অতিক্রম করার ঘটনা আমরা আর কোথাও দেখি না। আর তাই হয়তো জাগরণের এই শতবর্ষে এসে কবিতাটির নান্দনিক কাব্যিকতা এবং বিষয়-বৈভবের শক্তির দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। তিনি ছিলেন প্রকৃতিই কলম যোদ্ধা। কলম নিয়েই তাই নেমেছিলেন বিদ্রোহে। তথাপি ‘সত্য যে কঠিন’ আর সেই কঠিনকে কেউ কেউ সহজভাবে নেয়নি।
তিনি কবিতার মাধ্যমে পরিবর্তিত সুন্দর একটি সমাজ চেয়েছিলেন। যেখানে ‘লোভীদের টাকার পাহাড় গড়ে উঠবে না, হিন্দু-মুসলমানে হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দারিদ্র্য, ঋণ, অভাব, থাকবে না।’
পরিশেষে বলবো কাজী নজরুল ইসলাম এমনই একজন নির্মোহ কবি, আজ শতবর্ষ পরও যার সৃষ্ট কবিতাকে কিংবা ব্যক্তি কবিকে কোনোভাবেই খর্ব করে দেখার সুযোগ রাখেননি। তিনি নিজেই নিজেকে কাটাছেঁড়া করেছেন বিভিন্নভাবে। তাই তিনি সমকাল পেরিয়ে বিশ্বসাহিত্যের আসরে শির উচ্চ করে দাঁড়িয়ে আছেন মহাকাল হয়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়