কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা তাদের কাঁচামালের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভারত থেকে আমদানি করছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বনগাঁ কাস্টমস পয়েন্টে আমদানি করা কাঁচামাল ছাড় করতে বেশি সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, এতে করে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। হাইকমিশনারকে ভারতীয় অংশের কাস্টমসে কাঁচামাল দ্রুত ছাড় করানোর জন্য ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমদানি-রপ্তানি মসৃণ করা গেলে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়বে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এসব কথা বলেন। হাইকমিশনারের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ ও দ্বিতীয় সচিব (বাণিজ্য)/বাণিজ্যিক প্রতিনিধি ড. প্রম্যেশ বাসাল এবং ভারতীয় হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব বাণিজ্য অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যও একই সমস্যা মোকাবিলা করছে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা সরকার ও সরবরাহ চেইনের অংশীদারদের সহায়তা নিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিদেশি ক্রেতারা আগের মতো বাড়তি সময় দিচ্ছেন না। তারা পোশাক রপ্তানির জন্য স্বল্পতম সময়ের লিড টাইম নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। সে কারণে উদ্যোক্তাদের জন্য কাঁচামাল সময়মতো পাওয়া খুবই জরুরি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।