ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কাতার ও সৌদি আরব থেকে মোট ৬০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে কাতারের কোম্পানি মোন্তাজাত থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার টন প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১১৭ কোটি ৬৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। এ ছাড়া সৌদি বেসিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ করপোরেশন বা সাবিকের কাছ থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১১৭ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ২৫৫ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সার আমদানির দুই প্রস্তাবসহ মোট চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান, সার আমদানির সিদ্ধান্ত ছাড়াও ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), অষ্টম ও নবম শ্রেণি, এসএসসি ভোকেশনাল, ইবতেদায়ী (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি), দাখিল (অষ্টম ও নবম শ্রেণি) এবং দাখিল ভোকেশনাল স্তরের ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৯৭১ কপি বই ছয়টি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫৯ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৪ টাকায় মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকায় নির্মাণাধীন এসএস পাওয়ার লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য (পাওয়ার ইভাকুয়েশন) হাতে নেয়া একটি পিপিপিভিত্তিক প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়ি-বাঁশখালী ও মদুনাঘাট রুটে ৪০০ কেভির একটি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের কথা ছিল।
পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া জানান, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে পারেনি। ইতোমধ্যেই সেখানে আরেকটি বিকল্প লাইন স্থাপন হয়েছে। কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ স্থানান্তরে সেই লাইনকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকায় নির্মাণাধীন এসএস পাওয়ার লিমিটেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিতব্য বিদ্যুৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ইভাকুয়েশনের জন্য পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) হাতে নেয়। এর আওতায় ‘কনস্ট্রাকশন অব মাতারবাড়ি-বাঁশখালী-মদুনাঘাট ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী) নীতিগত অনুমোদন দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়