কাগজ প্রতিবেদক : ছাদ বাগান অথবা বাসাবাড়ির ফুলের টব যেন এডিস মশার প্রজনন স্থলে পরিণত না হয় সে জন্য নগরবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অয়োজিত সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময়, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকার মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর একটু আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে, পরিমাণও বেশি এবং থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। যেখানে সেখানে পানি জমছে। আবার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় নিয়মিত পরিষ্কার করতে না পারায় এসব স্থাপনায় মশার প্রজনন হচ্ছে। ছাদ বাগান বা ফুলের টবে নিয়মিত পানি অপসারণ করতে না পারলে মশার কীটনাশক অথবা কেরোসিনের তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি। এডিশ মশা নিধনে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে যে কোনো কোম্পানি কার্যকর কীটনাশক আমদানি করতে পারছে। তিনি বলেন, এসব কীটনাশক সহজলভ্য করার জন্য বাজারে ওপেন করে দেয়া হচ্ছে। এলাকা বিশেষে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অথবা ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হওয়া মাত্রই মন্ত্রণালয় অথবা সিটি করপোরেশনকে জরুরি ভিত্তিতে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে সেই বাড়িসহ আশপাশে বিশেষ অভিযান চালানো সম্ভব হয়।
মন্ত্রি বলেন, এডিস মশা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে শুধু রাজধানী বা মহানগরী নয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে মশামুক্ত রাখতে ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু করেছি। সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি সমন্বয়ক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।