ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

শাহরাস্তির ফেরুয়া-কৃষ্ণপুর-ধামরা রাস্তা : উঠে গেছে ইটের সলিং খানাখন্দে চলাই দায়

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

স্বপন কর্মকার মিঠুন, শাহরাস্তি (চাঁদপুর) থেকে : শাহরাস্তি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ফেরুয়া-কৃষ্ণপুর এবং সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ধামরা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা কাদা মাটি ও বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১০ বছর আগে ফেরুয়া বাজার হতে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা ইটের সলিং করা হলেও এখন আর ইটের সলিং দেখা যাচ্ছে না। মাটির নিচে দেবে গিয়ে অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কাঁচা অংশের প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে একাধিক গর্ত এবং অতি বৃষ্টিতে কাদা মাটি জমায় তাতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই তিন এলাকার হাজার হাজার লোক তাদের সহজ যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি দিয়ে প্রতি নিয়ত মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কর্মের তাগিদে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। কিছু সময়ের জন্য বাইক ও অটোরিকশা চললেও বর্তমানে তা চলাচল বন্ধ রয়েছে। একমাত্র হাঁটা ছাড়া কোনো যানবাহন নেই। তারপর রাস্তায় কাদা মাটি ও মাঝে মাঝে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত থাকায় দিনের আলোতে কোনো রকম চলাচল করতে পারলেও সন্ধ্যা নামার আগে হাঁটার পথ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানান, নির্বাচন এলে প্রার্থীরা ভোটের আশায় ভোটারদের কাছে রাস্তা মেরামত করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ভোট নিয়ে যায়। ভোট শেষে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আর এই এলাকার প্রতি কোনো সুদৃষ্টি না দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আমাদের এমন দুঃখের কথা সংসদ সদস্য বা প্রশাসন পর্যন্ত পৌঁছায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ‘গ্রাম হবে শহর’। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গ্রামীণ জনপথের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা অত্যাবশ্যক।
স্থানীয়রা আরো জানান, কৃষ্ণপুর গ্রামটি যেন শাহরাস্তি উপজেলার বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম। ওই গ্রামে গেলে বুঝা যাবে এলাকার লোকজনের মনে কতো দুঃখ, কষ্ট আর ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রামের প্রায় রাস্তা এখনো কাঁচা। রাস্তার সমস্যার কারণে ওই এলাকার গর্ভবতী মা অথবা জটিল রোগীদের আনা-নেয়া করতে মারাত্মক ঝুঁকি পোহাতে হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, আমার ইউনিয়নে ফেরুয়া-কৃষ্ণপুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা বিদ্যমান। কৃষ্ণপুর হতে ধামরা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের অধীন। আমার ইউনিয়নাধীন আড়াই কিলোমিটার রাস্তা পুনঃমেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার অবহিত করেছি। তবে আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয় বিষয়টি অবগত হওয়ার পর রাস্তটি যে কোনো উপায় করবেন বলে আশস্ত করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়