ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

রাণীনগরে আউশ ধান কাটা-মাড়াই শুরু : ফলন ভালো না হওয়ায় লোকসানের শঙ্কা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুকুমল কুমার প্রামাণিক, রাণীনগর (নওগাঁ) থেকে : রাণীনগর উপজেলায় শুরু হয়েছে আউশ ধান কাটা-মাড়াই। বর্তমান বাজারে ধানের ভালো দাম থাকলেও ফলন বিপর্যয়ের কারণে লোকসানের কবলে পড়েছেন কৃষকরা। আর ধান গাছে রোগবালাইয়ের কারণে অনেকে আগেই জমির রোপণ করা ধান ভেঙে ফেলে নতুন করে আমন ধান রোপণ করেছেন।
জানা গেছে, আউশ মৌসুমে উপজেলাজুড়ে প্রায় ১ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ধান গাছে রোগবালাইয়ের কারণে অনেকেই আউশ ধান রোপণ করেও মাঝামাঝি সময়ে জমির ধান গাছ ভেঙে ফেলে নতুন করে আমন ধান রোপণ করেছেন। উপজেলার চকারপুকুর গ্রামের কৃষক হাফিজার রহমান জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে আউশ ধান রোপণ করেছিলেন। কিন্তু ধান রোপণের পর হঠাৎ করেই ধান গাছ লাল হয়ে মরে যাচ্ছিল। উপায়ান্তর না পেয়ে সোয়া তিন বিঘা জমির ধান ভেঙে নতুন করে আমন ধান রোপণ করেছেন। তবে যেটুকু আছে তাতে ৫-৬ মণ হারের বেশি ফলন হবে না। বিষঘড়িয়া গ্রামের কৃষক মুনছুর রহমান জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন। এর মধ্যে ১ বিঘা জমির ধান ভেঙে নতুন করে আমন ধান লাগাতে হয়েছে। কালীগ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ জানান, দেড় বিঘা জমিতে ধান রোপণ করলেও পরে ভেঙে ফেলে নতুন করে রোপণ করতে হয়েছে। কসবাপাড়ার কৃষক হান্নান ও শুকুর উদ্দিন জানান, তাদের জমিতে ৬ থেকে ৮ মণ হারে ধানের ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভালো থাকলেও ফলনে না হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। কৃষকদের মতে, প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু প্রতি বিঘা জমিতে ধানের ফলন ৫ থেকে ৯ মণ হারে হচ্ছে। বর্তমান বাজারে ধানের রকম ভেদে ৮২০ টাকা থেকে ৮৪০ টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে বিঘাপ্রতি গড় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান রোপণ করা হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর আউশ ধানের আবাদ একটু কম হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দু-এক জায়গায় ধানের ফলন কম হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ জমিতেই ধানের ফলন বেশি হয়েছে। দাম এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়