ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

মোরেলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স : নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার দেড় বছরেও হয়নি হস্তান্তর

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এইচ এম জসিম উদ্দিন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) থেকে : মোরেলগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় বছর পার হলেও এখনো হস্তান্তর হয়নি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। এ বিলম্বের জন্য ঠিকাদাতা সংস্থা (এলজিইডি) ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান একে অপরকে দুষছেন। আর এতে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্নের দাবি করেছেন।
জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে মোরেলগঞ্জে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় দেড় বছর। সর্বশেষ গেল বছরের জুন মাসে এটি হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু হস্তান্তর না হওয়ায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বহুল প্রত্যাশিত নির্মিত এ ভবন ব্যবহার করতে পারছে না জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা।
স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় আধুনিক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দৃশ্যমান এই ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। সরকারের দেয়া কাজের অনুমতি পত্রে ভবনটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ছিল ১ বছর। সে হিসাবে ভবটির কাজ ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শেষ হওয়ার কথা। জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে কিছু জটিলতার কারণে ভবনের নির্মাণ কাজ দেরিতে শুরু করা হয়। তাই ভবন হস্তান্তরের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হবার পরে দুই ধাপে কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপজেলা প্রকৌশল শাখা বলছেন সরকারের দেয়া দ্বিতীয় ধাপে বাড়ানো মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের জুন মাসে।
উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার লিয়াকত আলী খান বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হবার এতদিন পরও এটি হস্তান্তর না হওয়া দুঃখজনক। ইতোমধ্যে এখানকার অর্ধেক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। এখন আমরা সব মারা যাওয়ার পর এ ভবন পেলে কি লাভ হবে। তাই আর বিলম্ব না করে দ্রুত হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানান এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ঠিকাদার জাহিদুর রশিদ সোহেল বলেন, কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করে হস্তান্তর নিচ্ছেন না ভবনটি। উপজেলা এলজিইডি ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন বলেন, কিছু ত্রæটি-বিচ্যুতি দেখা দেয়ায় সম্প্রতি সেগুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঠিক করা হয়েছে। খুব শিগগিরই হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতোমধ্যে ভবনের কিছু ত্রæটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হওয়ায় আমরা ঠিকাদারকে সেগুলো ঠিক করার জন্য তাগিদ দিয়েছি। আমাদের কমিটি এটি পর্যবেক্ষণ করে সেগুলোর ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করলে আমরা দ্রুত হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়