বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

৪ সংস্থা সম্পদের সঠিক মূল্যায়ন করলে কালো টাকা কমবে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের সম্পদ ব্যবহারকারী ৪টি প্রধান সংস্থা সঠিকভাবে সম্পদের মূল্যায়ন করলে অর্থনীতিতে কালো টাকার পরিমাণ ৭৫ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছে বাংলাদেশ সার্ভে এন্ড ভ্যালুয়েশন কোম্পানিস ফার্মস এন্ড ইন্ডিভিজুয়াল মান এসোসিয়েশন।
গতকাল রবিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু দর্শন ও সম্পদ উন্নয়ন নীতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জামাল হোসেনসহ সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান আমাদের দেশের সম্পদ ব্যবহারকারী ৪টি প্রধান সংস্থা যদি সঠিকভাবে সম্পদের মূল্যায়ন করে, সেক্ষেত্রে আমাদের অর্থনীতিতে কালো টাকার পরিমাণ ৭৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে- সরকারি রেজিস্ট্রি অফিসে কোনো সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের পূর্বে বর্তমান বাজার মূল্য নির্ধারণ, কোনো সম্পত্তি ব্যাংক আমানত করার পূর্বে বর্তমান মূল্য নির্ধারণ, নগর সিটি করপোরেশনে হোল্ডিংট্যাক্স দেয়ার পূর্বে সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য নির্ধারণ এবং ট্যাক্স রিটার্নের ক্ষেত্রে সম্পত্তির বর্তমান মূল্য নির্ধারণ। তিনি বলেন, আর্থিক অডিট রিপোর্টের মধ্যে ফিক্সড অ্যাসেট অথবা স্থাবর সম্পত্তি সঠিক বর্তমান মূল্য নিরূপণের সাপেক্ষে দেশের অর্থনীতিতে যেমন রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধি পাবে, তেমনই অপ্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ যখন কমবে তখন দেশের অর্থনীতি বেগবান হবে। আর এই কাজ ভ্যালুয়েশন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করলে দেশ এবং জাতি উপকৃত হবে বলেও জানান সংগঠনের সভাপতি।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু তার বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কাঠামোতে যে বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা হলো জনগণের উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করা, যা আজকের সময়ের প্রেক্ষাপটে উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধু যে ধারণাটি পোষণ করতেন তা হলো- দেশের মানুষ যদি হতদরিদ্র থাকে তবে দেশও হতদরিদ্র থাকবে। কাজেই মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা যাবে, তখন দেশ সমৃদ্ধশীল হয়ে উঠবে। তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তার অর্থনীতি ধারণাই সম্পদের সুষম বণ্টন ও সম্পদ সৃষ্টির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
এ ২টি উপাদান মানব উন্নয়নের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দারিদ্র্য দূরীকরণের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এই মানুষটি। ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল সংস্কার, শিল্প বিকাশের নতুন নতুন উদ্যোগ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, কৃষির আধুনিকায়ন সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ, সমবায় চেতনা বিকাশে শুরু করেছিলেন নানা কর্মযজ্ঞ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়