অশ্রুডানায় সূর্য খোঁজার পালা

আগের সংবাদ

শূন্য অর্থনীতি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল

পরের সংবাদ

ই-কমার্স খাতের বিকাশে সমন্বিত নীতিমালা জরুরি : ডিসিসিআইর সেমিনারে বক্তারা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জনগণের আস্থা, স্বচ্ছতা ও অটোমেশন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন, নীতিমালার সহজীকরণ, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বয় বৃদ্ধি, সহায়ক কর ও শুল্ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং ক্রড-বর্ডার বাণিজ্য দেশের ই-কমার্স খাতের বিকাশে খুবই জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন- ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ই-কমার্স খাতের বিকাশে টেকসই ইকোসিস্টেম প্রণয়ন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডায়ালগের বক্তারা।
গতকাল শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ভার্চুয়াল ডায়ালগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ডায়ালগের নির্ধারিত আলোচনায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্স অনুষদের ডিন প্রফেসর এ কে এনামুল হক, ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, নগদের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আশীষ চক্রবর্তী, দারাজ বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম, ইস্টার্ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশেদ আনোয়ার, পাঠাও-এর সভাপতি ফাহিম আহমেদ এবং তানজিব আলম এন্ড এসোসিয়েটর হেড অব চেম্বার ব্যারিস্টার কে এম তানজিব-উল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডায়ালগের স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণের ক্ষেত্রে ই-কমার্স অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতে কিছু অসঙ্গতি ও ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে ই-কমার্স খাতের টেকসই উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। দেশে ২০২০ সালে ই-কমার্স খাতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার লেনদেন হয়েছে এবং ২০২১ সালে এ খাতে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ খাতের কর্মকাণ্ডের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কারণে ডিজিটাল ব্যবসায় বেশ ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এখাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের কারণে বেশি লাভের আশায় মানুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক সময় নিয়মের ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হচ্ছে, সেবিষয়ে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে রেগুলেশন থাকা প্রয়োজন এবং এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ই-কমার্স খাতে একটি এসওপি প্রণয়ন করেছে, যার মাধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পণ্য ডেলিভারির পরপরই গ্রাহকদের পণ্যপ্রাপ্তির তথ্য প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার সম্ভব হলে এ খাতে আরো অগ্রগতি হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে সরকার একটি সহায়ক নীতিমালা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠমো উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে।
তবে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এ খাতের জন্য বিদ্যমান নীতিমালা এবং ভোক্তা-অধিকার আইনেও প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংস্কার করা প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়