সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের দেখা মেলেনি : পুরনো রূপে ফিরেছে বরিশাল নৌবন্দর

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বরিশাল প্রতিনিধি : বৈশ্বিক মহামারির কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে জীবন ও জীবিকার চাকা সচল রাখতে টানা ১৯ দিন পর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। চালু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বরিশাল নৌবন্দর সেই পুরনো রূপ ফিরে পেয়েছে। সরকার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও গণপরিবহনসহ সব খানেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল। কিন্তু বিধিনিষেধ না থাকার প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে নৌবন্দরে। লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দেখা মেলেনি। যদিও তাদের দাবি, স্বাস্থ্য সচেতনতায় মাইকে প্রচারণার পাশাপাশি লঞ্চে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
লকডাউন শিথিলের ঘোষণায় গত বুধবার সকাল থেকে নদীবন্দরে ভিড় বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বিকালের পর নদীবন্দরে ঢাকাগামী মানুষের ঢল নামে। বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকা মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় যাত্রা করেন। তবে যেসব শর্তে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে সেসব পালন হচ্ছে না নৌ বা সড়কপথে। এমনকি সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা মাস্ক নেই অধিকাংশ যাত্রীর মুখে। যে যেভাবে পারছেন গাদাগাদি করে লঞ্চ এবং বাস ভ্রমণ করছেন।
সরেজমিন গত বুধবার রাতে বরিশাল নদীবন্দরে দেখা যায়, ঢাকাগামী মানুষের ঢল নেমেছে। লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চ। প্রতিটি লঞ্চের ডেকেই যাত্রীতে ভরপুর। ডেকে জায়গা না থাকায় কেবিনের বারান্দায় চাদর বিছিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন অনেকে। নদীবন্দর এবং লঞ্চে অবস্থান নেয়া যাত্রীরা মাস্ক না পরার কারণ হিসেবে নানান অজুহাত সামনে নিয়ে আসেন। কেউ বলেন, ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরে থাকতে শ্বাসকষ্ট হয়। আবার কেউ বলেন খাবার এবং তামাক সেবনের জন্য মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছেন।
এদিকে লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হলেও নদীবন্দর কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কারো দেখা মেলেনি। বন্দর কর্মকর্তা মু. মুস্তাফিজুর রহমান দাবি করেছেন স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে লঞ্চে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। করা হচ্ছে সচেতনতামূলক মাইকিং। কিন্তু বাস্তবে বন্দর কর্মকর্তার এমন দাবির প্রমাণ পাওয়া যায়নি নৌবন্দরে।
অপরদিকে বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনেই বরিশালের গণপরিবহনগুলোতে যাত্রী কিংবা চালকদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে দেখা যায়নি। সব কিছু খুলে যাওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে গণপরিবহন। খোলা রয়েছে সব ধরনের অফিস, দোকান ও রেস্তোরাঁ। সেই চেনারূপেই ফিরেছে বরিশাল নগরী। নগরীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, শপিংমল ও প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
কোনো জায়গাতেই সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি কাউকে। মাস্ক ব্যবহারেও অনীহা দেখা গেছে অনেকের মধ্যে। বেলা ১১টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সব ধরনের গণপরিবহন চলছে।
বাসের হেলপার হাঁকডাক দিয়ে যাত্রী তুলছেন। গণপরিবহনে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও অনেক বাসেই আসন পূরণ হওয়ার পরও দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কোনো বালাই ছিল না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়