সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

ক্ষুব্ধ ও হতাশ চবি শিক্ষার্থী : আবাসিক হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত ও অসমাপ্ত পরীক্ষা আগামী ১৬ আগস্টের পর সশরীরে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে শতভাগ টিকা নিশ্চিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের হতবাক করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। এছাড়া চবি ক্যাম্পাসও চট্টগ্রাম শহর থেকে অনেক দূরে। কঠোর লকডাউনের কারণে শিক্ষার্থীরা দূর-দূরান্তের বাড়িতে চলে যায়। এখন পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়ি থেকে ফিরে আসবে। কিন্তু থাকবে কোথায়? আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ ও দাবি জানাই, আবাসিক হল খুলেই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হোক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান/স্থগিত/অসমাপ্ত পরীক্ষাসমূহ সমাপ্তে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) সৈয়দ মনোয়ার আলী বলেন, গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আবাসিক হল বন্ধ রেখে সশরীরে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিভাগগুলো রুটিনও ঘোষণা করে। সে সময় করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। লকডাউন শিথিল হওয়ায় আগামী ১৬ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভাগসমূহ স্থগিত পরীক্ষাসমূহ নিতে পারবে। পরীক্ষা শুরু হলেও শতভাগ টিকা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আবাসিক হল খোলা হবে না।
তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারি যদি দীর্ঘায়িত হয় সেক্ষেত্রে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার জন্য অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন করা হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস নেয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে তা নির্ধারণ করার জন্য বিভাগের সভাপতিকে একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। ডিনরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্থগিত পরীক্ষাসমূহ সমাপ্তির লক্ষ্যে গঠিত কমিটির কাছে পাঠাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়