সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

আলোচনা সভায় বক্তারা : পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন অকার্যকর

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনকে অকার্যকর অবস্থায় রাখা হয়েছে উল্লেখ করে আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার কথা থাকলে এখনো গঠন করা হয়নি। সমতলের আদিবাসীদের জন্য মন্ত্রণালয় না থাকায় তারা সরকারের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন না। মানবাধিকার কমিশন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের কাছে আদিবাসীদের ভূমি রক্ষা রিপোর্ট জমা দেবে এবং আমরাও সেটা পার্লামেন্টে নিয়ে যাব। সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্ট বসলে সেখানে আদিবাসী অধিকার আইনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হবে। অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামের বিকল্প নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে নাগরিক উদ্যোগ ও আইপিনিউজের যৌথ উদ্যোগে ‘আদিবাসীদের ভূমি সুরক্ষা ও করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেনের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় আলোচনায় যুক্ত ছিলেন সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, সিডিএর নির্বাহী পরিচালক শাহ-ই-মবিন জিন্নাহ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনুরাগ চাকমা। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সদস্য সোহেল হাজং এবং পটুয়াখালী ও কুয়াকাটা অঞ্চলের রাখাইন আদিবাসীদের সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরেন মং ম্য উইন। সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা বলেন, আদিবাসীরা সবসময় সহজসরল। তারা যেন তাদের ভূমি রক্ষা করতে পারে এবং অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারে, সেজন্য ভূমি সুরক্ষা আইন প্রণয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তবে আইনে যেন ভুলত্রæটি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য আহ্বানও জানান এ সাংসদ।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। বান্দরবানে ¤্রাে ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে কারা ভীতি সৃষ্টি করছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। মধুপুরের শালবন রক্ষায় কোর্টে মামলা করা হলেও কোর্ট বলছে গেজেট বাতিল হবে না। ভূমি ও বনাঞ্চল রক্ষায় ফরেস্ট রাইট অ্যাক্ট তৈরির কথাও আমাদেরকে ভাবতে হবে।

শামসুল হুদা বলেন, আদিবাসীদের প্রতি যে ঐতিহাসিক অবিচার, বঞ্চনা ও বৈষম্য, তা বিলোপ হওয়া দরকার। তার জন্য আমরা লড়াই করছি। পাহাড়-সমতলের আদিবাসীদের নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার, ভূমি অধিকার রক্ষা করার জন্য নাগরিক অধিকার কমিটি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়