গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

৪ হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় জাগো ফাউন্ডেশনকে অনুদান

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সারাদেশে চার হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনার জন্য জাগো ফাউন্ডেশনকে ৪৫ মিলিয়ন টাকার বার্ষিক মিলিত-অনুদান দিয়েছে সামিট করপোরেশন এবং বেক্সিমকো হোল্ডিংস। ইউনেস্কোর পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার মডেল ব্যবহার করে মহামারিকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় টেলিফোন, শর্ট মেসেজিং সার্ভিস এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জাগো ফাউন্ডেশন শিক্ষা নিশ্চিত করবে। আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে গেলে, অনুদানটি ডিজিটাল স্কুল পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের দুটি করপোরেট মিলিত হয়ে এত বিশাল অঙ্কের অনুদান কোনো দেশীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। এ ঘোষণা উপলক্ষে গত সোমবার জাগো ফাউন্ডেশন একটি ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সামিট গ্রুপ অব কোম্পানির পরিচালক ফাদিয়া খান, আজিজা আজিজ খান ও সালমান খান উপস্থিত ছিলেন। বেক্সিমকো থেকে ছিলেন গ্রুপ ডিরেক্টর আজমল কবির ও নির্বাহী পরিচালক, বেক্সিমকো গ্রুপ, সামিরা জুবেরী হিমিকা। এছাড়াও ছিলেন জাগোর প্রথম ব্যাচের দুই ছাত্র ফাতেমা ও লেনিন। ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি নবনীতা চৌধুরী সঞ্চালনা করেন।
সামিট গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, সারা বাংলাদেশে জাগোর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ওয়েব-ভিত্তিক শিক্ষার মডেল হয়তো ভবিষ্যতের পড়াশুনারই মডেল। করভি যা ভেবেছে তা আমাদের আগামীতে অনুসরণ আর অনুকরণ করা উচিত। সামিট দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রতিশ্রæতিবদ্ধ এবং জাগোর এ ইন্টারনেট-ভিত্তিক স্কুলগুলোকে সাহায্য করবার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। জাগো শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের জন্য ইউনেস্কো বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা পুরস্কার পেয়েছে, তেমনি তারা নোবেল পুরস্কারের দাবিদার।

প্রতিটি শিশুর আছে শিক্ষার অধিকার। তবে অনেকের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারিতে সে অধিকারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানান বেক্সিমকো গ্রুপের বোর্ডের উপদেষ্টা শায়ান এফ রহমান। এ সময় তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত দেশব্যাপী শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে অনেকের জন্য দূরশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি। বেক্সিমকো এবং সামিটকে সঙ্গে নিয়ে, জাগোর মাধ্যমে চার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দূরশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে গর্বিত।
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ বলেন, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষা খাত। এ বৈশ্বিক মহামারিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমন একটি মুহূর্তে, সামিট এবং বেক্সিমকো, শিক্ষা খাতকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের করপোরেট সেক্টর দেশের মানুষের জন্য এগিয়ে আসার এটি একটি উদাহরণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়