নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

দুই দেশের মতো যুদ্ধ আসাম ও মিজোরামে

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম এবং মিজোরাম গত সপ্তাহে সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুই রাজ্যের সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিরোধ নিয়ে বিবিসির সাংবাদিক জানান, ১৩ লাখ জনগোষ্ঠীর পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামের সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের সংযোগ রক্ষাকারী ব্যস্ততম মহাসড়কটি অস্বাভাবিক শান্ত হয়ে আছে। মিজোরামের সঙ্গে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। রাজ্যটি থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে যাওয়ার রাস্তাটি গেছে প্রতিবেশী আসাম রাজ্যের ওপর দিয়ে।
মিজোরাম ও আসামের মধ্যে চলমান উত্তেজনা চরম আকার নেয় গত ২৬ জুলাই। ওই দিন দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় রাজ্য দুটির পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উভয়পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে সাতজন নিহত এবং ৬০ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছয়জনই আসাম পুলিশ সদস্য।
মিজোরামের কর্মকর্তারা বলছেন, আসামের ২০০ পুলিশ একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে সীমান্ত শহর ভাইরেংতের একটি পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে নেয়। পরে স্থানীয় মিজোরা আসামের পুলিশদের বহনকারী বাস পুড়িয়ে দেয়। ভাইরেংতের বাসিন্দা পু গিলবার্ট বলেন, একটা সময় মনে হচ্ছিল দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে গেছে।

স্থানীয় মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ) মিজোরাম শাসন করে এবং তারা ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন নর্থ-ইস্ট ডেমোক্রেটিক জোটের একটি অংশ। প্রতিবেশী আসামও শাসন করছে বিজেপি সরকার। কিন্তু সেটা দুই রাজ্যের নেতাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।
আসাম ও মিজোরামের মধ্যে ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে বিতর্কিত এলাকার আয়তন ১,৩১৮ বর্গকিলোমিটার, যা মূলত পাহাড় ও বনভূমি বেষ্টিত। ঔপনিবেশিক শাসনামলে মিজোরাম পরিচিত ছিল লুসাই পাহাড় নামে। তখন এটি আসামের অংশ ছিল। তবে ১৯৭২ সালে এটি একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবে পৃথক হয়ে যায়। পরে দিল্লি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী এমএনএফর মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে মিজোরাম একটি আলাদা রাজ্যের মর্যাদা পায়। ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী দলটি ভারতের বিরুদ্ধে টানা ২০ বছর গেরিলা অভিযান চালিয়েছিল।
১৮৭৫ সালের ব্রিটিশ আইনের ভিত্তিতে মিজোরাম এই অংশটিকে নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু আসাম জোর দিয়ে বলছে, এটি তাদের সাংবিধানিক সীমানার অংশ। চলতি বছরের জুন থেকে এই বিতর্কিত এলাকায় বসবাসকারী মিজো গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন, আসাম পুলিশ স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের এই অঞ্চল থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়