চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলন : দেশে ৩৯তম বিসিএস পাস ৬৩৬০ ডাক্তারের জরুরি নিয়োগ দাবি

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩৯তম বিসিএস উত্তীর্ণ অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বঞ্চিত চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, অবস্থান কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলনসহ নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন তারা। ৩৯তম বিসিএস থেকে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার এসোসিয়েশনসহ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকেও সুপারিশ করা হয়। সরকারি মহল থেকেও বিভিন্ন সময় আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। দাবি পূরণ না হলে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বঞ্চিত চিকিৎসকরা এ দাবি জানায়। ৩৯তম বিসিএস উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিত ছয় হাজার ৩৬০ চিকিৎসকদের পক্ষে ডা. সৈকত রায় অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে, ডা. মো. আতিকুর রহমান, ডা. রাকিব মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বলা হয়, বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ৪২তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা অনেকটা অনিশ্চিত ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ততদিনে দেশের করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। অথচ ৩৯তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষা থেকে শুরু করে ভাইভা পরীক্ষা এবং উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের তালিকা পর্যন্ত সব দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন হয়ে আছে। শুধু সুপারিশ প্রাপ্ত হলে অপেক্ষমাণ চিকিৎসকরা যে কোনো সময়ে কাজে যোগ দিতে প্রস্তুত। তাদের ছয় হাজার ৩৬০ চিকিৎসক সবাইকে নিয়োগ দিলেও দেশের চিকিৎসক সংকট সামগ্রিকভাবে দূর হবে না, যা পরবর্তীতে ৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে সেই সংকট অনেকাংশে দূরীকরণ সম্ভব।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ৩৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, আর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে তার ফল প্রকাশ করা হয়।
৩৯তম ব্যাচে উত্তীর্ণদের ভেতর থেকে চার হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
একই বিসিএসে উত্তীর্ণ আট হাজার ৩৬০ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয় পদ স্বল্পতার জন্য। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে সেই আট হাজার ৩৬০ জন নন-ক্যাডার চিকিৎসকদের মধ্য থেকে গত বছর ২০২০ সালের মে মাসে দুই হাজার চিকিৎসক সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। বাকি আরো ছয় হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসক আছেন নিয়োগের অপেক্ষায়। যেহেতু নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩৯তম বিসিএস উত্তীর্ণ অপেক্ষামাণ চিকিৎসকদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়া হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়