চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

টঙ্গীতে শ্রমিক বিক্ষোভ : পুলিশের রাবার বুলেটে আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও পুলিশ সদস্য আহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার ভাদাম এলাকায় ক্রসলাইন লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে এ ঘটনা ঘটে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান জানান, ভাদাম এলাকায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকাল থেকে কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৫৮ রাউন্ড শটগান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষের সময় অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও পুলিশ সদস্য আহত হন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এএসআই এমদাদুল হক, মেহেদী, সাব্বির, আশরাফুল, মারুফ তমাল ও আনসার সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, রেজাউল করিম, মো. আলী মোল্লা আহত হয়েছেন।
আহতদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে টঙ্গীর দাড়াইল এলাকায় এসএন্ডপি বাংলা লিমিটেড হঠাৎ কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের নামাজপড়া, পাঞ্জাবি দাড়ি ও টুপি পরে কারখানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে কারখানার শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

ঘটনাস্থলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও থানা পুলিশ কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে কর্মস্থলে ফিরে যান। এ সময় কারখানায় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ দক্ষিণ ইলতুৎমিশ, সহকারী পুলিশ কমিশনার পীযূষ কুমার দে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান, পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস আলম, টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম।
এ বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান জানান, ক্রসলাইন লিমিটেড পোশাক কারখানার সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে এসএন্ডপি বাংলা কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের অনাকাক্সিক্ষত ভুলের জন্য ক্ষমা চায় এবং নোটিস প্রত্যাহার করে। পরে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে কাজে ফিরে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়