চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

চারজন গ্রেপ্তার : উচ্চবিত্তদের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রটি

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিজেদের আইটি সচিব, আইটি সচিবের পিএ ও জমির দালাল পরিচয় দিত একটি চক্র। এসব পরিচয়ে সম্পদশালী উচ্চবিত্তদের টার্গেট করে সুবিধামতো ভবনের ছাদে টাওয়ার নির্মাণ ও জমি কেনার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। মাদারীপুরের কালকিনি থানার একটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল এ চক্রটি পরিচালনা করেন। গত বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মূলহোতা ইদ্রিস খান, শাহাব উদ্দিন হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম ও জাহিদ সিকদার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার বলেন, চক্রটির বিরুদ্ধে প্রতারণার ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি কদমতলী থানায় মামলা করেন। আসামিদের প্রতারণার কৌশল অত্যন্ত অভিনব। তারা অর্থবিত্ত ও সম্পদশালীদের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন। এই চক্রের প্রধান ইদ্রিস। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

প্রতারণার বিষয়ে মাহবুব আলম বলেন, চক্রটি টার্গেটকৃত পরিবারের লোকদের কাছে নিজেদের আইটি সচিব, আইটি সচিবের পিএস ও জমির মালিক হিসেবে পরিচয় দিত। টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের বিল্ডিংয়ের ছাদে রবি টাওয়ার নির্মাণ, জমি ক্রয় বিক্রয়ের কথা বলে ভুয়া বায়নানামা সৃজনের মাধ্যমে আর্থিক লাভের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে অভিনব কায়দায় জমি ক্রয়ের বানোয়াট বায়নানামা তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল তাদের কৌশল। এজন্য একজনকে সচিব সাজিয়ে চক্রটি এমন নাটক করত যে, সচিবের কাছে টাকা কোনো বিষয় না। সচিব স্যার ২০ লাখ টাকা বায়না করেছে, আপনিও (ভুক্তভোগী) ২০ লাখ টাকা বায়না করেন, এ জমিতে লাভ হবে বলে প্রলোভন দিত চক্রের সদস্যরা। পরে ভুক্তভোগী টাকা দিলেই লাপাত্তা হয়ে যেত তারা। এ প্রতারক চক্রটি এভাবে শতাধিক প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় বিধায় এ প্রতারক চক্রকে রয়েল চিট এজেন্সি বা আরসিটি বলা হয়। মূলত এই চক্রটি চালিয়ে থাকেন মাদারীপুরের কালকিনি থানার একটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল। আসামি শাহাব উদ্দিনের বড় ভাই তিনি। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। ডিবি এই সাবেক চেয়ারম্যানকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আরো কিছু চক্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন বলে জানা গেছে। সেসব চক্রের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়