চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পুরনো ড্রেনের প্রায় ৪০ হাজার ইট নিলাম না হতেই গায়েব হয়ে গেছে। ঘটনায় আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। অনেকের অভিযোগ, ওই ইট গোপনে বিক্রি করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। দায় এড়াতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, এলজিইডির অধীনে থানা হাটবাজার থেকে রণপাগলীরতল ব্রিজ পর্যন্ত উপজেলা শহর নন-মিউনিসিপ্যাল মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ২৭৫ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ করা হয়। এ সময় পুরনো ড্রেনের প্রায় ৪০ হাজার ইট নিলাম ছাড়াই সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছিল। বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের দৃষ্টিগোচর হলে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে উপজেলা প্রকৌশলী তড়িঘড়ি করে ইটগুলো সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলীর বাড়ির সামনে জমা রাখেন। কিন্তু সেখান থেকে হঠাৎ সেগুলো উধাও হয়ে যায়। উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এসব ইট কোনো রকম নিলাম ছাড়াই গোপনে বিক্রি করে সমুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, সেখানে ৪০ হাজার ইট ছিল, যা গোপনে বিক্রি করা হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, যেখানে ইটগুলো রাখা হয়েছিল সেখানে কোনো ইট নেই। থানা হাটবাজার আদর্শ বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী বলেন, আমি কিছুই জানি না। আমার বাড়ির সামনে কিছু ইট রাখা হয়েছিল। হঠাৎ দেখি সেই ইট নেই। রাতের আঁধারে কেউ হয়তো ইটগুলো সরিয়ে ফেলেছে।
এদিকে নিলামের জন্য রেখে দেয়া ইট প্রসঙ্গে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন উপজেলা প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী।
এ প্রসঙ্গে উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান হিরু বলেন, ড্রেনের পুরাতন ইটের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। উপজেলা প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পুরাতন ড্রেনের ইটগুলো উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তিনি এস্টিমেট তৈরি করে দিলে ইটগুলো নিলাম দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খতিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।