৯৯৯-এ কলে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথ ও বাঁশির চিত্রকল্প

পরের সংবাদ

সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক : সংকট মেটাতে কেনা হচ্ছে ৩০ অক্সিজেন প্ল্যান্ট

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রবাসীদের আয়ে সরকারের দেয়া প্রণোদনার হার এ মুহূর্তে বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রবাসী আয়ে যারা ৫০০ ডলারের কম পাঠান তাদের প্রণোদনা ১ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বাড়াচ্ছি না। আমার মনে হয় ২ শতাংশ ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) ‘গুড এনাফ’।
ইনসেনটিভের ক্ষেত্রে রেভিনিউ এলাকায় নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারি কিনা সেটা আমরা দেখব। এর পরিসর যতটা বাড়ানো যায় ততটা চেষ্টা করব। রেমিট্যান্সে ইনসেনটিভের হার একই দেয়া হচ্ছে।
কেউ কেউ বলছেন যাদের আয় কম তাদের ইনসেনটিভ বাড়াতে, তবে আমাদের সেরকম কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। যে যে পরিমাণ আয় করবে তা বৈধপথে পাঠালে প্রণোদনা পেয়ে যাবে।
গতকাল বুধবার ২৬তম সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়ালি বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য মোট ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৫টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।
ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১১টি প্রস্তাবের মধ্যে ৯টিতে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার ১৭৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯১০ কোটি ৯৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৯ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ও দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ৪৩১ কোটি ৮২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৭ টাকা।
রেমিট্যান্সের টাকা নজরদারিতে রাখার বিষয়ে সিপিডির বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিপিডি তো বলেছে আসবেই না। এখন বলছে, বেশি আসছে বেশি গেছে। আমরা যেভাবে চাচ্ছি, আমাদের রেমিট্যান্স যেগুলো বিদেশে উপার্জিত হয় তা দেশে আসুক এবং বৈধপথে আসুক। আগে বৈধপথে আসত এবং অন্যান্য পথেও আসত।
এখন বৈধপথে আসাটায় এদের কোথায় আপত্তি আছে আমি জানি না। তারা কী দেখতে চাচ্ছে। যার কাছে টাকা আছে যে বিদেশে ব্যবসা বা চাকরি করেন তিনি তার টাকা দেশে পাঠাবেন। এতে সিপিডির বলার কী আছে, কার কী বলার আছে। আমরা যদি কোনো নিয়ম-নীতির মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্স নিয়ে আসি সেটা তো দেশের জন্য ভালো বলে মনে করি।
৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর অনুমোদন : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, এডিবির অর্থায়নে ‘কোভিড রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসটেন্সের’ আওতায় ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর কেনা হবে। দাম কত হবে, এগুলো কোথায় বসবে, তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পরে ঠিক করবে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় বলে অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। সে কারণে মহামারিতে দেশে অক্সিজেনের চাহিদাও বেড়েছে। দেশের হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে ১০০-১২০ টনের মতো অক্সিজেনের চাহিদা থাকে। ওই চাহিদা পূরণ হয় দেশের উৎপাদনেই।
ভারত থেকে আসছে চাল : ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স লিমিটেড থেকে ১৬০ কোটি ২২ লাখ ১১ হাজার ২০০ টাকায় এই চাল কেনা হবে। প্রতি টন ৩৭৭ দশমিক ৮৮ ডলার হিসাবে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে ৩২ টাকার কিছু বেশি। (ডলারের বিনিময় হার ৮৪ দশমিক ৮০ টাকা ধরে)।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ৩২০ কোটি ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪০ টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জে একটি স্টিল সাইলো তৈরির প্রস্তাবও বৈঠকে পাস হয়েছে। ধান-চাল সংরক্ষণ ও মজুত বাড়াতে সারাদেশে এ ধরনের স্টিল সাইলো তৈরির কাজে বিশেষ নজর দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড- কাফকোর কাছ থেকে ১১১ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৪৩৭ টাকায় ৩০ হাজার টন ‘ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া’ সার কেনা এবং অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৭ কোটি ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫১০ টাকায় ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মিরপুরের পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের ৪টি পৃথক প্রস্তাব গতকালের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়