৯৯৯-এ কলে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

আগের সংবাদ

রবীন্দ্রনাথ ও বাঁশির চিত্রকল্প

পরের সংবাদ

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা : সেই দুই শিশুকে মুক্তির নির্দেশ

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় বাল্যবিয়ের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড পাওয়া দুই শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসককে তাদের মুক্তির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। দুই শিশুর মুক্তি চেয়ে এক আইনজীবীর চিঠি আমলে নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।
এর আগে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড পাওয়া দুই শিশুকে মুক্তি দিতে হাইকোর্টের রিট বেঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে ইমেইলে চিঠি দেন আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট (গতকাল) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে দুই শিশুকে দণ্ড’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে জানতে পারি, নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে দুই শিশুকে এক মাসের সাজা দিয়েছেন। এই প্রতিবেদন পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। শিশু আইনের অধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই। ফলে, অত্র সাজা এখতিয়ার বহির্ভূত।
চিঠি পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়ে ওই আইনজীবী বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। আমার মনে আছে, ফতোয়ার মামলায় পত্রিকার রিপোর্ট দরখাস্ত হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। ছাত্রজীবনে পড়েছি একটি টেলিফোন কল নাকি এফআইআর হিসেবে গণ্য হয়েছিল। পার্র্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিলেন সন্তানহারা মা নীলাবতি বেহারা। সেই চিঠির ভিত্তিতে তিনি ক্ষতিপূরণও পেয়েছিলেন। স্বচক্ষে দেখেছি, পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনেক স্বপ্রণোদিত রুল জারি হয়েছে। বিচারও হয়েছে। জেল থেকে পাঠানো চিঠিগুলো জেল আপিল হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব উদাহরণ দেখে কিছুটা অতি উৎসাহী হয়ে এই পত্র লিখলাম। আশা করি, আমার এই পত্র বৃথা যাবে না।
চিঠিতে তিনি বলেন, আমার নিবেদন এই, সুপ্রিম কোর্ট রুলসের ১১ক অধ্যায়ের বিধি ১০ মোতাবেক অত্র চিঠিটি সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদন হিসেবে বিবেচনা করে সংযুক্ত ওই জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে উল্লিখিত শিশুদের তাৎক্ষণিক মুক্তির আদেশ দিতে অথবা ক্ষেত্রমতে উপযুক্ত আদেশ প্রদানে আপনার একান্ত মর্জি হয়।
এডভোকেট শিশির মনির পরে গণমাধ্যমকে বলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে ইমেইলে এ চিঠি পাঠিয়েছি। আমার জানামতে, কোনো বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য উচ্চ আদালতের কোনো বিচারপতিকে সরাসরি চিঠি এটাই প্রথম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়