কাগজ প্রতিবেদক : সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটকারী আলোচিত পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী মাহমুদ মালিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির উপপরিচালক এসএম সাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, পরবর্তী সময়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমোদন নেয়া হবে। মাহমুদ মালিক দুদকের দায়ের করা দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) এবং ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড’ (ইডকল)- এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ মালিক। ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন মালিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে।
মামলাগুলোতে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ৪৩ কোটি ১৫ লাখ ২ হাজার ২৯৪ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২-এ দায়ের করা মামলা ২টির তদন্ত করছেন উপপরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান।
এদিকে পি কে হালদারের নেতৃত্বে ডুবতে বসা তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড, পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড) অর্থ আত্মসাতে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হাইকোর্ট যে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন সেই কমিটি মাহমুদ মালিক ও তার স্ত্রী হাফসা আলম ওরফে হাফসা মালিককে তলব করে।
গত মঙ্গলবার শুধু মাহমুদ মালিক কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৫ জানুয়ারি পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার ও তার সহযোগী অমিতাভ অধিকারীসহ ২৫ ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে তিনি কানাডায় রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।