ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

২৩০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি ২০২০-২১ অর্থবছরে

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাস। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। তবে এর মধ্যেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ২ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ২৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা (ডলারপ্রতি ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা ধরে) মূল্যের বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ১ কোটি ৩১ লাখ ডলার বেশি।
তবে বন্দর দিয়ে ভারতে আরো বেশি পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা থাকলেও ভারতের অভ্যন্তরে কিছু জটিলতা থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতে ব্যাপক পরিমাণে চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে কর্টন র‌্যাগস (এক ধরনের সুতা), রাইস ব্র্যান অয়েল (তুষের তেল), ওয়াটার পাম্প (পানির পাম্প) রপ্তানি হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ৩ হাজার ৪০০ পিস পানির পাম্প, ২৮৫ টন কর্টন র‌্যাগস, ২৬ হাজার ৪৬৫ টন রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি হয়েছে। এসব পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৪১ হাজার ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বন্দর ব্যবহার করে ৬০০ পানির পাম্প, ১১৯ টন কর্টন র‌্যাগস, ১৯ হাজার ৬৭০ টন রাইস ব্র্যান অয়েল, চার টন পানির পাম্পের বিভিন্ন পার্টস রপ্তানি হয়েছিল। যা থেকে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৯৪ হাজার ডলার আয় হয়েছিল।
এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, ব্যাপক হারে পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা থাকলেও তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বেশকিছু সমস্যার কারণে আমরা ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে পারছি না। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হচ্ছে- ভারতের হিলি কাস্টমসে সুপারের ওপরে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নেই, উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিস নেই, কোনো শেড নেই, রাস্তাঘাটগুলো অপ্রশস্ত। এছাড়া বন্দরসহ অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকার কারণে আমাদের রপ্তানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ভারতে গিয়ে সময়মতো খালাস করা যায় না এবং এর ফলে সময়মতো পণ্য ডেলিভারি করা যায় না।
এ ব্যাপারে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ডলার। যেখানে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি মূল্য ছিল ১ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। ফলে রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৮২ দশমিক ৮৭ ভাগ। এ বন্দর দিয়ে রিচার্জেবল ব্যাটারি, জুস, কৃষিজাত পণ্য আলু রপ্তানির সুযোগও রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়