ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

ত্বিন ফলে স্বপ্ন বুনছেন নিউটন মণ্ডল

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন (ডুমুরিয়া) খুলনা : ত্বিন সম্পর্কে মহাগ্রন্থ আল কুরআনে একটি সুরা রয়েছে। ত্বিন শব্দের অর্থ আঞ্জির বা ডুমুর ফল। মানুষের কাছে এটি বেশি পরিচিত না হলেও কেউ কেউ তা দেখেছেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর পবিত্র কুরআনে বর্ণিত এই ত্বিন ফলের চাষ হচ্ছে এখন খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায়। শখের বসে শুরু হলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছে।
আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ডুমুর আকৃতির এই ফল সবার নজর কেড়েছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ঘোনা মাদারডাঙ্গা গ্রামের রবিন্দ্রনাথ মণ্ডলের পুত্র সফল চাষি নিউটন মণ্ডল। লেখাপড়ায় মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর আগেই শকের বসে ঝুঁঁকে পড়েন কৃষি চাষে। ২০০৩ সালে নিউটন মণ্ডল বিদেশি কচু চাষে সফলতা অর্জন করেই দেশে-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেন।
রামবুটান, পার্লিমন, ডরিয়ান, অ্যাবাকাটা, কমলা, আপেল, ননিফল, চুইঝাল, সূর্যডিম আমসহ ২৫২ প্রকারের ফুল-ফল ও সবজি চাষ করেও তিনি সফলতা পেয়েছেন।
সবজি, ফুল ও ফল চাষের পাশাপাশি গতবছর থেকে ত্বিন ফল চাষ শুরু করেছেন। এই ফলটি বেশ সুস্বাদু, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও উচ্চফলনশীল। চাষের ক্ষেত্রে তিনি সার্বক্ষণিক কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা পেয়ে থকেন।
এ ব্যাপারে নিউটন মণ্ডল ভোরের কাগজকে জানান, ২০১৯ সালে লোক মারফত মিসরিয়ান ত্বিন ফলের একটি চারা এক হাজার টাকায় সংগ্রহ করে শখের বসে বাড়ির ছাদে টবে (সিনথেটিক পট) রোপণের চার মাস পর গাছে ফল দেখা যায়। এরপর ক্যারালা থেকে আরো ১০০ চারা এনে টবে বাড়ির ছাদে রোপণ করি। বর্তমানে ১০০ ত্বিন গাছে ফুল এবং ফল এসেছে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর বাইরে থেকে দুই হাজার চারা আমদানি করে বিক্রি করে তিন লাখ টাকা মুনাফা পেয়েছেন। ত্বিন চাষে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সহায়তা পেলে ত্বীন ফল চাষ দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়