জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

দৌড়ে নতুন রাজা পুরনো রানী

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অলিম্পিকে সাধারণ দর্শকদের যে ইভেন্টটিতে সবচেয়ে বেশি নজর থাকে সেটি হলো ছেলে ও মেয়েদের ১০০ মিটার দৌড়। কারণ এ ইভেন্টের মাধ্যমেই দেখা পাওয়া যায় বিশ্বের নতুন দ্রুততম মানব ও নতুন দ্রুততম মানবীর। এবারের টোকিও অলিম্পিকে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এ ইভেন্টটি। এবারের অলিম্পিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম মানব হয়েছেন ইতালির মার্সেল জ্যাকবস। এর মাধ্যমে প্রথম ইতালিয়ান হিসেবে সম্মানজনক এ ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয় করেছেন জ্যাকবস। অপরদিকে দ্রুততম মানবী হয়েছেন জ্যামাইকার থম্পসন হেরাহ।
ইতালির মার্সেল জ্যাকবস নতুন মানব হওয়ার মাধ্যমে বিশ্ব পেয়েছে দৌড়ের নতুন রাজাকে। অপরদিকে থম্পসন ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকেও স্বর্ণপদক জয় করেছিল। থম্পসন এবার টোকিওতেও স্বর্ণপদক জেতায় পুরনো রানীকেই ফের দেখা গেল নিজের জায়গা দখলে রাখতে।
২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক ও ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে ছেলেদের ১০০ মিটারে স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন জ্যামাইকান কিংবদন্তি উসাইন বোল্ট। ওই তিনটি অলিম্পিকে তার ধারে কাছেও কেউ ছিল না। উসাইন বোল্টকে টপকে স্বর্ণপদক জয় করবেন এমন স্বপ্নও অনেকে দেখেননি। কিন্তু রিও অলিম্পিকের পরই বোল্ট জানান তিনি সামনের অলিম্পিকে আর খেলবেন না। আর তখন থেকেই মানুষের আগ্রহ তৈরি হয় তাহলে কে উসাইন বোল্টের জায়গাটি দখলে নেবেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সে জায়গাটি নিজের করে নিয়েছেন ইতালির অখ্যাত দৌড়বিদ মার্সেল জ্যাকবস। তিনি স্বর্ণপদকের লড়াই করার জন্য ১০০ মিটারের ফাইনালে ওঠেছিলেন ঠিকই, তবে তিনি যে পদক নিয়ে যাবেন তা অনেকে কল্পনাও করেননি। স্বর্ণের জন্য যে আটজন ফাইনালে লড়াই করেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওজনওয়ালা ব্যক্তি ছিলেন জ্যাকবস। কিন্তু প্রতিভা থাকলে যে তা প্রকাশ পাবেই সেটিই প্রমাণ করে দিয়েছেন ইতালির এ অ্যাথলেট জ্যাকবস ৯.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন। যদিও এর মাধ্যমে তিনি নতুন করে অলিম্পিকের নতুন কোনো রেকর্ড করতে পারেননি। তবে তিনি ইউরোপের সবচেয়ে দ্রুততম মানব ঠিকই হয়েছেন। অপরদিকে ছেলেদের ১০০ মিটার ইভেন্টে রৌপ্যপদক জয় করেছেন আমেরিকার ফ্রেড কার্লে। তিনি ৯.৮৪ সেকেন্ড সময় নেন। আর কানাডার আন্দ্রে দি গ্রাসসে জেতেন ব্রোঞ্জপদক। তিনি লক্ষ্যে পৌঁছাতে সময় নেন ৯.৮৯ সেকেন্ড।
মার্সেল জ্যাকবস ইতালির হয়ে স্বর্ণপদক জয় করলেও তার জন্ম হয়েছিল আমেরিকার টেক্সাসে। তার মা হলেন ইতালিয়ান, আর তার বাবা ছিল আফ্রিকান আমেরিকান। জ্যাকবসের বাবা আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। তার বাবাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বদলি করা হলে মায়ের সঙ্গে তিনি ইতালিতে চলে আসেন। তখন তার বয়স মাত্র ১৮ মাস। এরপর ইতালিতেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। জ্যাকবস ছোটকাল থেকেই অ্যাথলেটিক্সে অংশ নেন। দৌড় ছাড়াও তিনি হাই জাম্পেও অংশ নিয়ে থাকেন। এমনকি হাইজাম্পে ইতালির জাতীয় চ্যাম্পিয়নও তিনি।
অপরদিকে দৌড়ে মেয়েদের রানী থম্পসন হেরাহ রিও অলিম্পিক থেকেই সবার কাছে বেশ পরিচিত। কারণ সেবার তিনি মেয়েদের ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন। তার আগে অলিম্পিকের একই আসরে এমন বড় দুটি ইভেন্টের স্বর্ণপদক কেউ জয় করতে পারেনি। তাছাড়া রিও অলিম্পিকে মেয়েদের দলগত ৪০০ মিটার রিলে প্রতিযোগিতায় রৌপ্যপদকও জয় করেছিলেন। এবারের টোকিওতে যখন তিনি আসেন তখনো সবাই ধরে নিয়েছিল থম্পসনই সেরা হবেন। যদিও তার সঙ্গে স্বর্ণপদক জেতার জন্য বিশ্বের সেরা সেরা সব নারী দৌড়বিদ ছিলেন। এমনকি নিজ দেশ জ্যমাকারই আরো দুজন প্রতিযোগী তার সঙ্গে ছিল। তবে জ্যামাইকার বাকি দুজনের মধ্যে বিশ্বরেকর্ডধারী ফ্রেসার প্রায়েস ও শেরিকা জ্যাকসনও পদক জিতেছেন। তারা দুজন যথাক্রমে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক জয় করেছেন। এর মাধ্যমে এবারের টোকিও অলিম্পিকে সেরা তিনজনের পুরস্কারই নিয়ে গেছে উসাইন বোল্টের দেশ।
:: মোহাম্মদ তানভীরুল ইসলাম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়