শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পোড়া ৪৫টি মরদেহ শনাক্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ৪৮ জনের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক শাখা। বাকি তিনজনের পরিচয় চলতি সপ্তাহেই শেষ হবে। ডিএনএ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল হাতে এলেই সিআইডি মরদেহগুলো নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবে। জেলা প্রশাসন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের টাকাসহ মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জের হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫১ জনের মৃত্যু হয়। নিহত তিন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তখনই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাকি লাশগুলো আগুনে এতটাই পুড়ে যায় যে দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরিচয় শনাক্ত না হওয়া লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন জানান, আগুনে পোড়া ৪৮টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে নিহতদের পরিবারের ৬৬ জন স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মধ্যে থেকে এরই মধ্যে ৪৫ জনের লাশ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি তিনজনের লাশ শনাক্তের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে কিনা সেটি আমাকে এখনো জানানো হয়নি। সিআইডি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করলে আমরা একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বুঝে নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব। মরদেহ দাফনের জন্য মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
হাসেম ফুডের কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম, তার চার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গত ১০ জুলাই আবুল হাসেম ও তার চার ছেলেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মামলাটি নিবিড় তদন্তের জন্য আপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে স্বজনরা মরদেহ বুঝে না পেলেও হাসেম ফুড বেভারেজের মালিক আবুল হাসেম ও তার চার ছেলে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। হাসেম ফুডসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহান শাহ আজাদ, উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বর্তমানে কারাগারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়