কাগজ প্রতিবেদক : লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ করেই রপ্তানিমুখী কলকারখানা খুলে দেয়ার সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘পুরোপুরি আত্মঘাতী’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের স্থায়ী কমিটির গত শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ডক্টরস এসোসিয়েশনের (ড্যাব) অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও অধ্যাপক আব্দুস সালাম এতে উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকাগুলোদে দেখেছেন কী ভয়াবহ অবস্থা? কী রকম তুঘলকি কারবার- আগে বলা হলো, কারখানা খোলা হবে না, ৫ তারিখ পর্যন্তই বন্ধ থাকবে। আবার হঠাৎ করেই বলা হলো কলকারখানা খোলা হবে। কী করে লোকগুলো আসবে তার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার দেখা যাচ্ছে- রাত্রি বেলা বলছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন খোলা থাকবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি কি এমনি বলেছিলাম যে, এগুলো আসতেছে সব হেমায়েতপুর থেকে। আসলেই তো! সব হেমায়েতপুরের অবস্থা। এটা বদ্ধ উন্মাদনা ছাড়া আমি কিছু দেখতে পাই না। তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, অযোগ্যতা, দুর্নীতিপরায়ণতা এবং আন্তরিকতার চরম অভাবে এসব আত্মহননকারী সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করছে। দিস ইজ টোটালি সুইসাইডাল।
মির্জা ফখরুল বলেন, যেভাবে মানুষ ঘাড়ের উপরে চড়ে গাদাগাদি করে ঢাকা আসছে। এখন তো মফস্বলেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ওইগুলো নিয়ে তারা ফিরে আসছে। সো উই আন্ডারস্ট্যান্ড কী হতে যাচ্ছে ঢাকাতে। আমরা মনে করি, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতার জন্য সব দায়-দায়িত্ব নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।