বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য পদে গতকাল রবিবার ঢাকা অফিসে যোগদান করেছেন অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার উপস্থিত ছিলেন।
খ্যাতিমান এই অধ্যাপক একজন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষক। নারী ও দুর্যোগ বিষয়ে তিন দশকের অধিক অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ সংকটে দুর্যোগে নারীর অভিজ্ঞতায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নতুন তত্ত্বের প্রবক্তা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসেবে দেশে-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। শিক্ষাজীবনে সর্বত্রই বৃত্তিধারী, চ্যান্সেলর পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রখর মেধাবী ড. নাসরীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ১৯৮৮ সালে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ২০০৫ সালে একই বিভাগে অধ্যাপক হয়ে ২০১২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ, চ্যান্সেলর মনোনীত ঢাবির সিনেট সদস্য (২০১৫-২০১৮), জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, ঢাবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।
কমনওয়েলথ স্কলার ড. নাসরীন নিউজিল্যান্ডের ম্যাসি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৫ সালে পিএইচডি, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরেডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘নারী ও দুর্যোগ বিষয়ে’ অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘মেরি ফ্রান মায়ার্স’ সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত হন।
ড. নাসরীন ইউনিভার্সিটি কলেজ, লন্ডন, যুক্তরাজ্যের অনারারি ভিজিটিং প্রফেসর। এছাড়াও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ওহিও ইউনিভার্সিটি, লক হ্যাভেন ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব মিসিসিপি, ইউএসএর সঙ্গে গবেষণা কোলাবরেশন ও নেটওয়ার্কিং এ নিবিড়ভাবে সংযুক্ত আছেন।
পারিবারিকভাবে প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী অধ্যাপক নাসরীনের পিতা তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ও জনসংযোগবিদ ছিলেন। স্বামী অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য। তাদের একমাত্র সন্তান প্রেয়ান মাহিব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।