শিগগিরই প্রয়োগ শুরু : আরো ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এলো জাপান থেকে

আগের সংবাদ

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ ২ : সশস্ত্র আরসা ও আরএসও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

পরের সংবাদ

ড. বেনজীর আহমেদ : দুই বছরে ২২০০ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপতৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই বছরে ২ হাজার ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা হয়, এসব নিয়ন্ত্রণ করায় এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।
সচিবালয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, পুলিশ ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে নেয়া হয়েছে। সেনা সহায়তায় ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। এ বছরের মধ্যেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া, ওয়াকওয়ে ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এসব কাজ শেষ হলে ক্যাম্পের শৃঙ্খলা আনা আরো সহজ হবে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, এটা শেষ হলে ক্যাম্পে এখন যে অবাধ চলাচলের বিষয় আছে, সেটি বন্ধ হবে। এই বেড়ার বাইরে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, এটা তৈরি করা হলে আমাদের পক্ষে ক্যাম্পের বাইরে টহল দেয়া সুবিধা হবে। ক্যাম্পের বাইরে কিছু ওয়াচ টাওয়ার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
তবে বর্ষার কারণে কাজের গতি একটু কম জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, আমরা আশা করছি বেড়া দেয়া, ওয়াকওয়ে ও ওয়াচ টাওয়ার এ বছরের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। ক্যাম্পে খাদ্য নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে স্বীকার করলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান আইজিপি। তিনি বলেন, সেখানে স্থানীয়ভাবে ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি, আইওএম কাজ করে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আরআরআরসি কাজ করছে। সমস্যা নিরসনে সবাই কাজ করছে। আমি মনে করছি শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেনজীর বলেন, সেখানকার সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। আগে যেখানে চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে ২ হাজার ২০০ জন কাজ করতেন, তাদের সাময়িকভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে নিয়োগ করা হতো। তিন মাস পর পর রোটেট করা হতো। এ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে নতুন করে একটি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, আমরা ঢাকা থেকে আরো একটি ব্যাটালিয়নকে রিলোকেট করেছি। এখন তিনটা ব্যাটালিয়ন ওখানে ৩৪টি ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে।
আমরা ৩৪টি ক্যাম্পকে ক্লাস্টারে পুনর্বিন্যস্ত করেছি, একেকটা ক্লাস্টারের দায়িত্ব একেকটা এপিবিএন ক্যাম্পকে দেয়া হয়েছে। ওখানে ২২টি এপিবিএন ক্যাম্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুবিধার্থে গাড়ি ও মোটরসাইকেল দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকটি গাড়ি ইউএনএইচসিআর দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে এখন রাতেও টহল দেয়া হচ্ছে, ক্যাম্পের বাইরে যৌথ টহলের ব্যবস্থা করা রয়েছে। ওই অঞ্চলে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী কাজ করে। রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন রয়েছে। তারা ক্যাম্পের বাইরে যৌথ টহল দিচ্ছে।
যে তিনটি ব্যাটালিয়ন কাজ করে কক্সবাজার শহরে, সেগুলোকে উখিয়া ও টেকনাফে নিয়ে যাওয়া হবে। যৌথ বাহিনীর টহলের জন্য এসওপিও করার কাজ চলছে। রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে বলেও জানান বেনজীর আহমেদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়